গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা উপদ্রুত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি কমে এসেছে। আজ শনিবারও সেসব এলাকায় বৃষ্টি কম হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে আগামীকাল রবিবার রাতে বা সোমবার আবার বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এদিকে, দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আজ নেই। তবে তিন বিভাগের অনেক স্থানে আজ আবার মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জসহ ১১ জেলা এখন বন্যা আক্রান্ত। টানা প্রবল বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আজ সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলগুলোর মধ্যে ফেনীর বৃষ্টি নিয়ে কোনো তথ্য আবহাওয়া অধিদফতর দেয়নি। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ফেনী শহরের থাকা বৃষ্টি মাপার যন্ত্র এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। তাই তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলে বৃষ্টি অনেকটা কমে এসেছে। আজও এসব এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আগামীকাল রাতে বা পরদিন সোমবার এসব অঞ্চলসহ দেশের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৬ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে এ সময় কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫১ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৪৩ মিলিমিটার এবং রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ