ঢাকা, সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সাড়ে দশ ঘণ্টা পর মুক্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
অনলাইন ডেস্ক

টানা সাড়ে ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হয়েছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রবিবার শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আনসার সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর বের হতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রবিবার সকাল থেকে আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টা থেকে তারা অবরুদ্ধ করে রাখে সচিবালয়কে। এতে করে সবগুলো গেট বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৫টায় অফিস ছুটি হলেও রাত সাড়ে ১০টার আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হতে পারেননি।

রবিবার রাজধানীর সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল আনসার সদস্যরা। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে ছত্রভঙ্গ হয় তারা।

রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আনসার সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় ঘিরে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রাখার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধারে রওনা হন।

এসময় ছাত্র জনতা সচিবালয় অভিমুখে রওনা করলে একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

একপর্যায়ে পল্টন মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ও গুলিস্তানের সামনে থেকে হাজার হাজার ছাত্র জনতা সচিবালয়ের চারদিক ঘিরে ফেললে আনসার সদস্যরা কেউ পল্টনের দিক দিয়ে, আবার কেউ প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে ছোটাছুটি করে পালিয়ে যেতে থাকে। ছাত্র জনতার সাথে সচিবালায়ের সামনে থেকে আনসারদের হটাতে যোগ দেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। 

মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় সচিবালয় এলাকা। এই মুহূর্তে সচিবালয়ের সামনে হাইকোর্ট মোড় থেকে গুলিস্তান মোড় পর্যন্ত দখল করে রেখেছে অন্তত ৫০ হাজার ছাত্র জনতা। তারা বলছেন, দেশ থেকে পালানো শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশ অস্থিতিশীল করতে এই আনসার সদস্যদের আন্দোলনে মদদ দিচ্ছেন।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর