রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
রবিবার রাত ৯টার পরে এ ঘটনা ঘটে। হাসনাত আবদুল্লাহসহ আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্ররা সচিবালয়ের সামনে আসলে আনসাররা প্রথমে ছাত্রদের ওপর হামলা করে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের শুরুতে উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে, ৩৫ জনের শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মাথায় আঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আজ সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিল আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল