দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, ‘সরেজমিনে আমি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যা পরিস্থিতি দেখেছি। পানি কমতে শুরু করেছে। অচিরেই মানুষ বাড়িঘরে যেতে পারবে আশা করছি। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব। এরপর পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হবে। সেটাও যেন সুন্দরভাবে হয় সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ত্রাণ পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ে (অস্থায়ী) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে লক্ষ্মীপুর জেলায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাজেদুল হক রেজা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি ত্রাণ উপদেষ্টার সামনে আলোকপাত করেন।
ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। এখানে সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যস্তভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দেখে আমি সন্তুষ্ট।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান, লক্ষ্মীপুর জেলায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাজেদুল হক রেজা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মসন সিংহ, জেপি দেওয়ান, প্রিয়াংকা দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।
এর আগে সরকারের এ উপদেষ্টা সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ছাত্র, স্কাউট ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ-খবর নেন ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ