‘আমি ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ, ছোট বাচ্চার প্যান্ট, গোল জামা, টেপ বানাবার পারি। গ্রামে এগুলো বানাইলে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি পিস ২০০ টাকা পর্যন্ত কামাই করা যায়। আমি কামাই করে বাড়ির খরচ চালাব। মেয়েটাকে লেখাপড়া করাব।
আমার একমাত্র সম্বল এই সেলাই মেশিন। বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সেলাই মেশিন দেওয়ার জন্য।’ কথাগুলো বলছিলেন উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ভাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মোর্শেদা খাতুন। বিয়ের ১০ বছর পর তাঁর স্বামী মারা যান।
এক মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন এই বিধবা নারী।
মোর্শেদা খাতুন বলেন, ‘আমি আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ করতাম। কাঁথা সেলাই করতাম। কিন্তু মেশিন না থাকার কারণে বেশি কাজ করতে পারি না।
গ্রামে হাতের কাজের চাহিদা অনেক। সবাই টেইলার্সে কাজ করাতে যেতে পারে না। অনেক মেয়ে মানুষ আছে লজ্জায় টেইলার্সে যেতে পারে না। এখন এই সেলাই মেশিন আমি বাড়িতে বসাব। তখন কাজ আসবে।
বেশির ভাগ গ্রামের মহিলারা আসবে কাজ নিয়ে। আমি মনে করি এই কাজ করে আমার বাড়তি আয় হবে।’