ঢাকা, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এই সরকারের কাছে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা অনেক: কর্নেল অলি
নিজস্ব প্রতিবেদক

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় দুই মাস সময় পূর্ণ করেছে। এই সরকারের কাছে জনগণের আশাআকাঙ্খা অনেক। তবে এখনো মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাজ করছে। কারণ সংস্কার কর্মকাণ্ডে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।”

তিনি বলেন, “কোনো অবস্থাতেই দেশের মানুষকে নিরাশ করা যাবে না। আমাদের সবাইকে সরকারকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।”

প্রয়োজনে দক্ষ, শিক্ষিত এবং উপযুক্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে উপদেষ্টাদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত রাজনীতিতে অভিজ্ঞজনের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সংস্কার বাস্তবে রূপ দিতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকের মানসিক সংস্কারও প্রয়োজন।”

শনিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কর্নেল অলি।

তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করলে মনে হয়, তাদের অনেকেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দুর্বল। অথচ ঐ আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার গণআন্দোলনের সময় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিশেষত গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচন পদ্ধতি ধ্বংস করেছে। সর্বস্তরে আত্মীকরণ ও দলীয়করণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম-খুন, জনগণের ওপর নির্যাতন-জুলুম, মেগা প্রকল্পের আড়ালে ব্যাপক দুর্নীতি, বিশাল ঋণ নিয়ে লুটপাট এবং বিদেশে লক্ষ কোটি টাকা পাচার এসব নজিরবিহীন অপরাধ সংঘটিত করেছে। সুতরাং এই দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।”

ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, “স্বৈরাচারী ও খুনী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়, যেসব উপদেষ্টা বা কর্মকর্তা গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার লংঘন এবং দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য দায়ী, তাদেরকে এখন পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি?”

বিগত ১৫ বছর বিভিন্ন সময় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিগত সরকারের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করেছে উল্লেখ করে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, “অবৈধ অস্ত্রধারীদের সুষ্ঠু তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। সময় ক্ষেপণ না করে তা উদ্ধারের পদক্ষেপ নিতে হবে। 

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। আমাদের সবাইকে এই অনুষ্ঠান সফলভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করার জন্য সহযোগিতা করতে হবে। বিশেষভাবে সরকারকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ আওয়ামীপন্থীরা বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।”

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর