তার শরীর যেন মায়াবী শহরের কবিতা। বৈশাখী পূর্ণিমায় স্রষ্টা নেমে আসেন উঁচু দালানবাড়ির নির্জন ছাদবাগানে। নীল জ্যোৎস্নার ভাঁজে উঁকি দেয় শহুরে পেঁচা দেখা যায়, যায় না চিবুকের নিচে জুরুলচিহ্ন। তার শরীর জুড়ে মাটির ঘ্রাণ সাঁতার কাটে মাঘের রাতে পোয়াতি চাঁদের বেদনা চুঁয়ে ঝিলিক দেয় কবেকার এক ফর্মা ভালবাসা। তার শরীর মধ্যরাতে বৃষ্টিভেজা দীর্ঘশ্বাস। কালো গোলাপের নির্যাস অপার অসীম কবিতার চেয়েও অদ্ভুত উদোম লাস্যময়ীর গ্রীবাদেশে হা করে আছে সুদীর্ঘ যানজট। তার স্বপ্নবোনা শরীরের বাঁকে পথ বদলায় সাথী হারানোর ক্রোধে মত্ত হাতীর দল। মেট্রোরেলের উঁচু পিলারে হেলান দিয়ে হাই তুলছে বিকেলের বাদামী ছায়া। তার জন্য বিদায়ী শীতের নিস্তেজ সকালের গালে হঠাৎ চুমু খায় উদ্যম বসন্তের গান। তার জন্য এক নদী অপেক্ষা তার ধুলোমাখা চুমু, তার নুপূরপরা পা তার শরীরভরা শ্রাবণ সে আমার সবুজ উঠোন। তার শরীর আমার আস্ত মরণ!