করোনার সময়ে হঠাৎ করেই একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবী এসে হাজির। তাঁরা এ অঞ্চলের অতিদরিদ্র মানুষকে এক মাসের খাদ্য সহায়তা দেবেন। জানতে পারলাম তাঁরা শুভসংঘের স্বেচ্ছাসেবক। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা নিয়ে এসেছেন।
পুরো দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মানুষকে এই সহায়তা দিতে তাঁরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছেন। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার ৫০ হাজার মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। আজ আবার ছুটে এসেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এই অঞ্চলের নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন বিতরণে এসেছেন।
এসব যখন দেখি, তখন খুবই আশান্বিত হই। কে বলেছে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায় না? দেশের প্রতিটি দুর্যোগে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিটি শীতে শীতার্ত মানুষকে উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিতে হাজির হয় শুভসংঘ টিম। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তুলে দেয় কম্বল।
শুভসংঘের মাধ্যমে সারা দেশে মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের ভাগ্যবদলে কাজ করছে দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সুদৃষ্টি দিয়েছেন। ঝরে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি দিনাজপুরে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। দিনাজপুর সদর ও বিরামপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছেন।
সেলাই মেশিনে কাজ করে তাঁরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। এভাবে অসচ্ছল নারীরা নিজেদের বদলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সম্প্রতি কোরআনের হাফেজদের নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিবছর শতাধিক মানুষকে হজে পাঠাচ্ছে। মেডিক্যালে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বহন এবং অন্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছে। এভাবে বসুন্ধরা গ্রুপ নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষের ভাগ্যবদলের কাজ করছে। আগামী দিনে বসুন্ধরার সব কর্মসূচিতে বিরামপুর পৌরসভা পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় ও তাঁর পরিবারকে আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, এই কামনা করি।
লেখক: মেয়র, বিরামপুর পৌরসভা, দিনাজপুর