তুরস্কের আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস রবিবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ বিবেচনায় জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানটি জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান মো. রইস হাসান সরোয়ার। বাণী পাঠের পর মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত বঙ্গমাতার ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় “বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী” এর উপর ভিত্তি করে তার কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদানের উপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক ও সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর নাসরিন আহমেদ, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর মাহফুজা খানম, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মিজ মেহের আফরোজ চুমকি এবং বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. মাকদুমা নারগিছ। আলোচনাকালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তারা তাদের আবেগ ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের গৌরবময় জীবন তাদের আলোচনায় ফুটে ওঠে। সকলে মহীয়সী বঙ্গমাতাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহধর্মিণী ও সঠিক পরামর্শদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গমাতা ফাস্ট লেডির মর্যাদা ভোগ না করে অতি সাধারণ জীবনযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত ও দুস্থ বাঙালি নারীদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গী শহীদদের স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করে শোনান এবং বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু পরিবার ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। পরিশেষে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই