ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শ্রীলঙ্কায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
অনলাইন ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে রবিবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং তার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শাহাদৎ বরণকারী অন্যান্য সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে বঙ্গমাতার  জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।

হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলামের সভাপত্বিতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচকরা বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে তার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। বঙ্গমাতা অবিচল সংকল্পে জাতির সকল দুঃসময়ে যে নিরন্তর উদ্দীপনা যুগিয়েছিলেন সে বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে একজন স্বার্থক মা হিসেবে বঙ্গমাতার সংসার পরিচালনা, সন্তানদের সুশিক্ষিত আদর্শবান মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা, একই সাথে সহধর্মিণী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগানো এবং সর্বোপরি বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

বঙ্গমাতা যে সীমাহীন ধৈর্য্য, অসীম সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার সাথে মুক্তিযুদ্ধকালীন সামগ্রিক পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করেছেন-তা বাঙালি নারীদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও হাইকমিশনার অভিমত ব্যক্ত করেন এবং নতুন প্রজন্মকে তার আদর্শ ও কর্ম হতে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশাবলী মেনে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর