জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে খার্তুমের এক এতিমখানায় ৭০ জন এতিমের জন্য দুপুরে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস খার্তুম।
এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় দূতাবাস চত্বরে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। খার্তুমস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রায় একশ'র অধিক সদস্য এতে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশন্যাল পিওপল ফ্রেন্ডশিপ এর এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক আমানী কামাল ইউসিফ।
সন্ধ্যার এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের চার্জ দ্য এফেয়ার্স তারেক আহমেদ তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”, “কারাগারের রোজনামচা” ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রচিত "আমাদের ছোট রাসেল সোনা" থেকে রাসেল সংক্রান্ত নোটগুলো পড়ে শোনান এবং একজন পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুভূতি আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমরা নেতা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, এখানে আমরা একজন পিতা বঙ্গবন্ধুকে পাই যখন শিশু রাসেল জেল থেকে বাবাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ বর্ণনা করতে তিনি নিজেই আবেগ আপ্লুতো হয়ে যান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে বঙ্গবন্ধুর পিতৃঅনুভুতির বর্ণনায় আবেগাপ্লুতো হয়ে পড়েন।
চার্জ দ্য এফেয়ারর্স ১৮ অক্টোবর দিনটিকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মিসেস ইউসিফ তার বক্তব্যে খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দ্বিপক্ষীয় সহায়তার ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য সকল সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি শেখ রাসেলের সম্পর্কে জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন।
প্রথমবারের মতো শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন সরকারিভাবে আয়োজিত হওয়ায় উপস্থিত অতিথিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে বারবার কৃতজ্ঞতা জানান এবং সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর হাত আরও শক্ত করার সংকল্প ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর