শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের র্যালি থেকে শহীদ পরিবারের সন্তান ও লেখক হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তক থেকে হুমায়ূন আজাদ, শামসুর রাহমান, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা-লেখা সরিয়ে ফেলার পাঁয়তারা চলছে। তাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূরক অসাম্প্রদায়িক সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উৎসাহিত করার লেখাগুলো বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে।’
অভিনেতা-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী বলেন, এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সংকল্প গ্রহণ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে, পাক হায়েনার দল যখন আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময়েই বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করতে লেখক-সাংবাদিক-সাহিত্যিক-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
‘আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি, তাঁর করতলে পালিমাটির সৌরভ ছিল/ তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল’-লেখা ব্যানার হাতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের এ র্যালি জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র ফাহিম রেজা নূর এবং সঞ্চালনা করেন হোস্ট সংগঠনের সেক্রেটারি স্বীকৃতি বড়ুয়া।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। এরপর একাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সমূলে উৎপাটনের সংকল্প ব্যক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে মৌলবাদ-জঙ্গি মুক্ত করার জন্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন মুনির হোসেন, মুজিবুর রহমান মিয়া, ওমর ফারুক খসরু, নাজনীন সিমন, শ্যামল চন্দ্র ও লুৎফর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর