যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে দেশদ্রোহী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এছাড়া ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি– বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উঁচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তাঁর প্রিয় সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাঁদের মহান নেতা জাতির স্থপতি’ বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙ্গালী জাতি অনুভব করে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের সীমা অতিক্রম করেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে।
পরে দিবসটি উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাপানে অমিক্রন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর