ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ককাসের নেতৃত্ব নিতে চান কংগ্রেসওম্যান ম্যালনী
লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র
কংগ্রেসওম্যান ক্যারলিন বি ম্যালনী

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ‘হাউজ কমিটি অন ওভারাইট এ্যান্ড রিফর্ম’র চেয়ারপার্সন কংগ্রেসওম্যান ক্যারলিন বি ম্যালনী (Congresswoman Carolyn Maloney is the Chairwoman of the House Committee on Oversight and Reform) প্রবাসীদের এক সমাবেশে কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস পুনরুজ্জীবন এবং এর নেতৃত্ব গ্রহণের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। 

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় কংগ্রেসওম্যানের নির্বাচনী তহবিল গঠনকল্পে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত কথা হয়েছে। বিশেষ করে গত এক দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-পরিক্রমা উপস্থাপনের পরই ঝিমিয়ে পড়া অথবা নির্জীব হয়ে থাকা বাংলাদেশ ককাস পুনর্গঠনের প্রসঙ্গ উঠায় ডেমক্র্যাট মোর্শেদ আলম। 

প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহও এ সময় ককাসের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করেন। 

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিশেষজ্ঞ ড. সুফিয়ান এ খন্দকার বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্বেও বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে ধাবিত হচ্ছে সমসাময়িক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং নিউইয়র্কে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসরত প্রবাসীদের কল্যাণ সম্পর্কেও কথা বলেন, ‘এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র উপদেষ্টা এমাদ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি জাবেদ উদ্দিন। বাংলাদেশের খ্যাতনামা ‘ম্যাক্স গ্রুপ’র চেয়ারপার্সন ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিন কংগ্রেসওম্যানকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে ক্যারলিন ম্যালনী বলেন, হাউজে ফরেন এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স’র সাথে পরামর্শক্রমে এ আমন্ত্রণ বিবেচনা করতে পারেন। 

উল্লেখ্য, এর আগে প্রবাসীদের অপর এক তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্যে ঢাকায় যেতে পারেন। 

কংগ্রেসওম্যান ক্যারলিন বি ম্যালনীর এই নির্বাচনী এলাকায় করোনা মহামারির সময়ে ‘এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ বিশেষ ভূমিকার জের ধরে সামনের শুক্রবারও রমজান উপলক্ষে ৩ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রি বিতরণ করবে। সেই কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন কংগ্রেসওম্যান। 

আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ককাসের চেয়ারপার্সন কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি ২০১৮ সালের নির্বাচনে নবাগত আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজের কাছে পরাজিত হবার পরই ককাস বিলুপ্তির পর্যায়ে গেছে। অথচ রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজনসহ ৪২ জন সদস্য নিয়ে এটি বাংলাদেশের পক্ষে সরব ছিল দেড় যুগেরও অধিক সময়। সে আলোকেই কংগ্রেসনাল বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠার পরই মোর্শেদ আলম চেষ্টা করছেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির সাথে তার বহুদিনের কানেকশন কাজে লাগাতে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন   



এই পাতার আরো খবর