ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামায় বক্তব্য রাখলেন শামীম আল আমিন
অনলাইন ডেস্ক

আধুনিক মারনাস্ত্র দিয়েও মানুষের হৃদয়কে জয় করা সম্ভব না। অথচ কেবল সঙ্গীত, খেলাধুলা কিংবা ভালোবাসা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে মানবতার জয়গান গাওয়া সম্ভব। আর মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর অসামাণ্য একটি আয়োজনের উজ্জ্বল উদাহরণ ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামায় গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন লেখক, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শামীম আল আমিনের পরিচালনায় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘একটি দেশের জন্য গান’ বা ‘সংস ফর এ কান্ট্রি’ প্রদর্শিত হয়। ইউনিভার্সিটির তিনটি বিভাগ ও একটি প্রোগ্রাম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. পেভিকা শেলডন, পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিলিপ হাবেল, হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. ডেভিড এ ম্যাসেঞ্জার এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ প্রোগ্রামের পরিচালক ড. ক্রিস্টিন রিনে। কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ও ফ্যাকাল্টি সিনেটের প্রেসিডেন্ট ড. দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।    

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শামীম আল আমিনের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। এরপর আয়োজক তিনটি প্রতিষ্ঠান ও একটি বিভাগের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা। পরে তিনি তার দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত ঐতিহাসিক সেই কনসার্টের প্রেক্ষাপট ও প্রভাব তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, সেদিনের সেই মহাঅয়োজন ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কোন চ্যারিটি কনসার্ট। সেই কনসার্টের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কনসার্টের অন্যতম দুই উদ্যোক্তা জর্জ হ্যারিসন, পণ্ডিত রবিশঙ্করসহ অন্য শিল্পীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন তিনি। 

বাংলার মধ্যযুগের কবি বড়ু চণ্ডীদাসের অসামাণ্য উচ্চারণ ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ কে উদ্ধৃত করে শামীম আল আমিন বলেন, “এখন দেশে দেশে সংঘাত। মানুষে মানুষে হানাহানি চলছে। অথচ মানুষের শক্তিতে মানুষই বার বার জয়ী হয়েছে। এখন সময় এসেছে শান্তির মাধ্যমে সবার জন্য ভালোবাসার একটি পৃথিবী প্রতিষ্ঠার।” তার জন্য তিনি মানুষের শক্তিতে ভরসা রাখার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তার জন্য ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হবে, ঘৃণা নয়।   

প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শনের পর সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা নির্মাতাকে নানা ধরণের প্রশ্ন করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে সেই আয়োজন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পেরে মুগ্ধ হন সেখানে উপস্থিত  সবাই। শেষে শামীম আল আমিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. পেভিকা শেলডন।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর