ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্যাংককে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত  মো. আব্দুল হাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের (মিনিস্টার) রাজনৈতিক ও মিশন উপ-প্রধান মিজ মালেকা পারভীন ও মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ। অনুষ্ঠানে দিবসটির উপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বে দূতাবাসের ইকনোমিক মিনিস্টার সৈয়দ রাশেদুল হোসেন এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নির্ঝর অধিকারী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। নির্ঝর অধিকারী তার বক্তব্যে ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

এছাড়া সৈয়দ রাশেদুল হোসেন ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল তারিখে মার্কিন নিউজউইক ম্যাগাজিন কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রকাশিত নিবন্ধটির বিভিন্ন দিক উপস্থিত শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরেন, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ অভিধায় ভূষিত করা হয়েছিল। তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণের ওপর আরো বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ভাষণটি ভবিষ্যতে দেশের নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিশেষত ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহা, ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া তিনি ভাষণটির অন্তর্নিহিত গুরুত্ব, ভাষণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, দর্শন ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর এবং দূতালয় প্রধান মো মাসূমুর রহমান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর