ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত
অনলাইন ডেস্ক
শেখ কামাল: ফাইল ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হকের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিশুদের নিয়ে কেক কাঁটার মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত শেখ কামালের স্মরণে ছোট্ট শিশুদের মধ্যে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং বিজয়ীদেরকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারে ভূষিত করেন। 

এরপর দূতাবাসের বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে  রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মো. রাশেদ ইকবাল। এসময় শেখ কামালের কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের বহুমুখী প্রতিভার কথা এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে বক্তব্য প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধে অর্থাৎ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের  অভ্যুদয়ে শেখ কামালের গৌরবময় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব ধরনের সাংস্কৃতিক জগতে স্বাচ্ছন্দে বিচরণকারী শেখ কামাল ছিলেন একজন চৌকস ক্রীড়াবিদ, সফল সংগঠক ও নাট্যঙ্গনের একজন নিবেদিত কর্মী।  বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা আমরা পেয়েছিলাম, যিনি আমাদের দিয়েছেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, গর্বিত পরিচয় এবং দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন ও উদ্যম। অতঃপর তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতির কথা তুলে ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিডিপ্রতিদিনকবিরুল



এই পাতার আরো খবর