ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টরন্টোয় ‘বাচনিক’র ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান
কানাডা প্রতিনিধি

কবিতা, গান আর নাচের বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে টরন্টোর আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন ’বাচনিক’র ১০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। গত শনিবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সেইন্ট জন হেনরি নিউম্যান হাই স্কুল মিলনায়তনে ‘কবিতার জোছনায় দশ বছর’ শিরোনামে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দর্শক শ্রোতাদের প্রশংসা অর্জন করে।

বাচনিকের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিপি এবং প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় উপনেতা ডলি বেগম। কবি দিলারা হাফিজ এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাচনিকের প্রধান আবৃত্তি শিল্পী মেরী রাশেদীন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবি আসাদ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। গবেষক, আবৃত্তিকার হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় পৃথক এই পর্বে কবি আসাদ চৌধুরীর কবিতা থেকে বৃন্দ আবৃত্তি ও কবির স্মরণে শিল্পী ফারহানা শান্তা একটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। কবি পরিবারের পক্ষ থেকে কথা বলেন কবি পত্নী সাহানা চৌধুরী ও কনিষ্ঠ পুত্র জারিফ চৌধুরী। কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী কবিকে নিয়ে লেখা তার একটি কবিতা পাঠ করেন। কবির বড় সন্তান আশেক ওয়াহেদ চৌধুরী আসিফ কবীর সুমনের লেখা একটি গান পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, কবি আসাদ চৌধুরী শুরু থেকে আমৃত্যু বাচনিক উপদেষ্টা ছিলেন। কবি আসাদ চৌধুরী পর্বের শুরুর এক পর্যায়ে মঞ্চের এক পাশে রাখা কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দেন এবং প্রদীপ প্রজ্বলন করেন হোসনে আরা জেমী ও সোমা সাঈদ।

অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনকে ‘বাচনিক সম্মাননায়’ ভূষিত করা হয়। সম্মাননা প্রদান পর্বে মঞ্চে আসেন বিশেষ অতিথি কবি দিলারা হাফিজ, প্রধান অতিথি এমপিপি ডলি বেগম, বাচনিক উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ, বাচনিক উপদেষ্টা রাশিদা মুনীর, বাচনিক উপদেষ্টা রূমানা চৌধুরী, বাচনিক উপদেষ্টা দেলওয়ার এলাহী, বাচনিকের নির্বাহী সদস্য কাজী হেলাল ও বাচনিক নির্বাহী সদস্য জামিল বিন খলিল। সম্মাননা পর্বে মানপত্র পাঠ করেন মেরী রাশেদীন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে বাচনিক কবিতা, আবৃত্তি, শিল্প-সাহিত্য বা মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য সম্মাননার প্রবর্তন করে। বাংলা ভাষার বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন এ বছর বাচনিক সম্মাননা-২০২৩ পেয়েছেন।

এরপর বাচনিকের শিল্পীদের পরিবেশনায় শুরু হয় আবৃত্তি। নাজমা কাজী ও ফ্লোরা নাসরিন ইভার সঞ্চালনায় আবৃত্তি পর্বের এক পর্যায়ে একটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিখা আখতারী আহমাদ এবং নৃত্য পরিবেশন করেন জেমস প্রিসা, অরুনা হায়দার।

আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন অরুনা হায়দার, ইরা নাসরিন, কাজী হেলাল, কামরুন নাহার হীরা, কামরান করিম, জাহিদা খানম সোমা, জামিল বিন খলিল, ডটি শারমিন, তন্ময় রহমান, ফারহানা আহমদ, ফাতেমা খাতুন ইথার, মেরী রাশেদীন, লীনা আগ্নেস ডি কস্টা, রাশিদা মুনীর, শাপলা শালুক, শিখা আখতারী আহমাদ, সুমি রহমান, সম্পূর্ণা সাহা, হাসিনা হানিফ হাসি। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন রূপতনু শর্মা, রনি পালমার।

শুরু থেকে সাংগঠনিকভাবে বাচনিকের সঙ্গে আছেন এমন কয়েকজন আবৃত্তিশিল্পীকে দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মানিত করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অরুনা হায়দার, রাশেদা মুনীর, কাজী হেলাল, রেজা অনিরুদ্ধ, ফারহানা আহমদ, হোসনে আরা জেমী, সুমি রহমান, ম্যাক আজাদ-এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বাচনিক আহ্বায়ক মেরী রাশেদীন।

মেরী রাশেদীনের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় এবং কবি দেলওয়ার এলাহীর স্ক্রিপ্টে পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাজমা কাজী ও ফ্লোরা নাসরিন ইভা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর