ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে ‘মহান শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’ পালন করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।     

কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা একুশের প্রভাতফেরিতে যোগ দেন। প্রভাতফেরি শেষে তারা দূতাবাসস্থ শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।     

দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া, দিবসটিকে উপজীব্য করে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।         

হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও তাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে তিনি নিজ ভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শেখার উপরও জোর দেন। হাই কমিশনার একুশের অবিনাশী চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর অনুপম আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।     

সন্ধ্যায় দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হলে বহুভাষাভিত্তিক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দেশ ভারতসহ চিলি, ঘানা, জাপান ও নেপালের সাংস্কৃতিক দল তাদের পরিবেশনায় নিজ নিজ দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এসময় নয়া দিল্লীস্থ ইউনেস্কো আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রতিনিধি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বাণীটি পাঠ করে শোনান।   

সবশেষে ভাষা শহিদদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।    

স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।     

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর