মেরিল্যান্ড স্টেটের ক্যাপিটল হেইটসে লার্চমোন্ট অ্যাভিনিউতে নিজ কনভেনিয়েন্স স্টোরে কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হানিফ (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। প্রিন্স জর্জকাউন্টি পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার হানিফ হামলার শিকার হন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে কমিউনিটি সূত্রে সোমবার জানা গেছে।
স্বজনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রিন্স জর্জ কাউন্টি পুলিশ জানায়, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমিনবাজারের সন্তান হানিফ ১৯৯৯ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। স্ত্রী এবং ৩ সন্তান নিয়ে বসতি গড়েন ভার্জিনিয়ার অ্যানান্ডেলে। ফাস্টফুডের দোকান সাবওয়েতে কাজ করতেন। সেটি ছেড়ে বছর দেড়েক আগে এই কনভেনিয়েন্স স্টোরটি ক্রয় করেন। সেখানেই এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের ছুরিকাঘাতে মারা গেলেন হানিফ।
কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তটি স্টোরে ঢুকে সিগারেটসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার সময় হানিফ বাধা দিয়েছিলেন। সে সময়েই তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় টহল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন মোহাম্মদ হানিফ।
স্টোরের সার্ভিলেন্স ভিডিও পরীক্ষার পর পুলিশ দুর্বৃত্তটির ছবি প্রকাশ করেছে। হানিফের কন্যা ফাতেমা রাইসা পিতার ঘাতককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমার বাবা ছিলেন হৃদয়বান মানুষ। পরিবারের জন্যে কঠোর শ্রম দিয়েছেন। তার মতো একজন মানুষকে কেন নির্দয় আচরণের ভিকটিম হতো হলো?
হানিফের শ্যালিকা লুৎফুন্নাহার ইসমাইল জানান, যদি তিনি জানতেন যে গ্রাহকের কাছে ডলার নেই। তাহলে মূল্য ছাড়াই প্রত্যাশিত দ্রব্য দিতেন। এমন একজন হৃদয়বান মানুষকে কেন হত্যা করা হলো?
মঙ্গলবার সকালে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মোহাম্মদ হানিফের ঘাতক গ্রেফতার হয়নি বলে কমিউনিট ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই