ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রবাসের ২৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ অবমুক্ত হচ্ছে ১৭ মার্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঙালির স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী আসছে ২৬ মার্চ। অর্থাৎ সেদিন ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবেন প্রবাস ও বাংলাদেশের বাঙালিরা। ৫৩ বছর আগে বাংলার অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে দামাল ছেলেরা কীভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়েছিলেন, কীভাবে হায়েনাদের কবল থেকে বাংলার মানুষ আর মাটিকে মুক্ত করেছেন, কী ছিল সেই উজ্জীবনী শক্তি ইত্যাদি অবলিলায় বিবৃত করেছেন আমেরিকায় বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। 

প্রকৃতির নিয়মেই অনেকে ইন্তেকাল করেছেন এবং অনেকেই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। তাই ইচ্ছা সত্বেও মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় সেসব দিনগুলোর কথা হাতে লিখতে অথবা টাইপ করতে সক্ষম হন না অনেকেই। এ সব বিষয় সামনে রেখেই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের রণাঙ্গনের দিনগুলোর কথা ভিডিওতে ধারণের এ উদ্যোগ নেয়া হয়। 

১১ নম্বর সেক্টরের কনিষ্ঠতম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাবলু আনসারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. কাদের মিয়া, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুল হক এবং ডা. সায়েরা হক দম্পতি, ওয়াশিংটন ইউনিভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর এবং সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও আলিম খান আকাশ এবং ব্লিং শু লিমিটেডের কর্ণধার হাসানুজ্জামান। 

মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প ভিডিওতে ধারণের কার্যক্রম শুরু হয় গত বছর। অর্ধ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প ধারণে সর্বাত্মক সহায়তা দেন এনআরবি কানেক্ট টিভির আরিফুল ইসলাম, মো. নাঈম হাসান, জলি আহমেদ, সাংবাদিক আলমগীর কবির। সম্পাদনা করেছে ঢাকার লায়নিক মাল্টি মিডিয়া। এরমধ্য থেকে ২৭ জনের গল্প প্রথম পর্বে অবমুক্ত হচ্ছে ১৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে রাধুনি পার্টি হলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ শীর্ষক ভিডিওটির আনুষ্ঠানিক অবমুক্তির সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারাও থাকবেন সুধীজনের সাথে। এটি ইউটিউবে দেখা যাবে এবং ইউটিউবের লিঙ্ক উদ্বোধনের পরই সকলকে জানানো হবে। 

এরপর আমেরিকার আরও কয়েক জনের ভিডিও ধারণ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

প্রথম পর্বে রয়েছেন বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক, বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) ডা. সিতারা রহমান, বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান নান্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিমউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুলজার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ গোবিন্দ কুণ্ডু। 

এই ২৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্পের পরিধি ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে বন্দি করা হলেও ভবিষ্যতে বাংলার স্বাধীনতা, বাঙালির বীরত্বগাথা এবং সংগঠক থেকে ব্ঙ্গবন্ধু ও পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে উঠা নিয়ে যারা গবেষণা করবেন, ইতিহাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের প্রয়াস চালাবেন-তাদের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের এই বিবরণী কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 



এই পাতার আরো খবর