ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে। দিনের শুরুতে সকালে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপ-প্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি, মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ এবং কাউন্সেলর (ইকনোমিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন।

আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং আগত অতিথিরা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর তাৎপর্যভিত্তিক বক্তব্য প্রদান করেন। দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপ-প্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত আলী তালুকদার বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে আলোচনাপর্বে অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের মহান বিজয় অর্জন, স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর কারাভোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও দেশ গঠনের জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। সকালের এ আয়োজনে সঞ্চালনায় ছিলেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে স্থানীয় একটি হোটেলে কূটনৈতিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংককস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় দেড় শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী H.E. Mr. Chada Thaised। উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষত পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মতো বৃহৎ প্রকল্পে থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার জন্য তিনি থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। 

এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী H.E. Mr. Chada Thaised তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং দেশ গঠনে জনগণ ও বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক পরিসরে এবং বিমসটেক’র মতো আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপ-প্রধান মিজ মালেকা পারভীন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর