শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অকল্যান্ড বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনে মহান স্বাধীনতা দিবস, ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যেগে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পান্তা এবং দেশীয় ভর্তা, মাছ দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্তে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান রনির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷
এ পর্বে সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। শিশু কিশোরদের মধ্যে আরিসা এবং রিশান কবিতা আবৃত্তি করেন এবং উপস্থিত শিশুরা বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা দিবসের উপর কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কবিতা আবৃত্তি করেন মনীষা জাহান মিলা এবং বৈশাখ উপলক্ষে স্বনামধন্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানি আকলিমার সাথে সমবেত কন্ঠে “এসো হে বৈশাখ” গাওয়া হয়।
সারমেন সেরেন রদ্রিক্সের সঞ্চালনায় উপস্থিত অতিথিগণ নিজ অঞ্চলের ভাষায় সবার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মূল আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম খান, জাকির হোসেন, শেখর গোমেজ, স্থপতি শাহিন হক এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল প্রকৌশলী সফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু)। সভায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি, রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মহান বিজয়ের গৌরভ গাঁথা তুলে ধরেন। বক্তারা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ পালনে গৌরবময় অতীতের কথা স্মরণ করেন।
সমাপনী বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের সভাপতি ড: মোঃ আব্দুর রশিদ ঢাকায় ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ, ২৬ শে মার্চ ও ২৭ শে মার্চে তার অভিজ্ঞতার কথা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন । অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন সৈয়দ জি এম জুলফিকার হায়দার, মির্জা রাকিব, মাহবুবা আজিজ খান, ইলোরা হোসেন, মনীষা জাহান মিলা, সারমেন সেরেন রদ্রিক্স এবং শামামা শাহরিন। অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, তাদের পরিবার এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ