ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নিউইয়র্কে চলছে আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা
লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্কে বইমেলায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অতিথিরা (উপরে)। বইমেলার উদ্বোধনী সমাবেশে অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মাননা জানানোর পর ৩৩ জন অতিথি ৩৩টি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন (নিচের ছবি)

‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানে ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চার দিনের এই মেলা শুরু হয় জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে।

পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের প্রবেশদ্বারে সকল অতিথি, কবি-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক সংগঠককে পাশে নিয়ে ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই মিলনায়তনের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী পর্বেরও উদ্বোধন করেন ডা. সারোয়ার আলী ( ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা)।  

এ সময় সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. নুরুন্নবী এবং সিইও বিশ্বজিৎ সাহা। 

এই বইমেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‌জয় শুভ সময়, জয় বঙ্গময়, জয় বিশ্বময়। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক মর্মমূলে, আমাদের পরিচয় আমরা মানুষ, আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি সারা পৃথিবীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে। আমরা বলছি, যত বই তত প্রাণ, যত বই তত শব্দ, যত শব্দ তত ধ্বনি, যত ধ্বনি তত অর্থ।

উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় সংসদ সদস্য এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাঙালির যাপিত জীবনের ফল্গুধারা প্রবাসের প্রজন্মে প্রবাহিত রাখার সংকল্পে চার দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তব্যের শুরুতেই আমি একাত্তরের ৩০ লাখ শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করতে চাই। কারণ আমাদের শেখড় মুক্তিযুুদ্ধ। নিউইয়র্কের মুক্তধারা যে অনুষ্ঠানটি ৩৩ বছর ধরে করছে তা কিন্তু খুব স্বাভাবিক বিষয় নয়। ৩৩ বছর যাবত ধরে রাখা এবং প্রথম প্রজন্মের সাথে নতুন প্রজন্মকে একইসূত্রে বেঁধে রাখার এই যে প্রয়াস, তা অবশ্যই সময়ের প্রয়োজনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই যুগসূত্র আমার দেশ, আমার সংস্কৃতি, আমার বই, আমার সাহিত্য সবকিছুতে। 

ফরিদা ইয়াসমিন এমপি আরো বলেন, অনেকে মনে করি যে, নতুন প্রজন্ম হয়তো দেশের সংস্কৃতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে অথবা দূরে সরে যাচ্ছে। প্রকৃত অর্থে তারা সরে যাচ্ছে না। এই বইমেলার উপস্থিতিতে তা দৃশ্যমান হয়েছে। 

এ সময় অতিথির মধ্যে আরো বক্তব্য দেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কথা সাহিত্যিক ও চ্যানেল আই'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন লেখক-সাংবাদিক শামিম আল আমিন। উদ্বোধনী পর্বে সংগীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা সংগীত নিকেতন, সংগীত পরিষদ, আড্ডা এবং উদীচীর শিল্পীরা। 

এ মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, লন্ডন, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখকদের সদ্য প্রকাশিত ১০ হাজার বই নিয়ে ৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর