ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুবাইয়ে একদিন পর ঈদ, পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা
জাসেদুল ইসলাম, আরব আমিরাত

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আর একদিন পর কোরবানির ঈদ তাই নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।

দুবাই আল-কুসাইস ক্যাটল মার্কেট, আজমান নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায়, শারজায় আলী মুসা, আবুধাবি, আল-আইনসহ সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন জায়গায় পশুর বাজার জমে উঠেছে। এখানকার অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। আমদানিকৃত দেশ হচ্ছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় পশু আমদানি।

আমিরাতের বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০০ দিরহাম থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০০ দিরহাম থেকে শুরু।

পশু আমদানিকারক নোয়াখালীর রফিক জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ছাগল লালন পালন ও বিক্রি করেন। তারা কোরবানির পাঁচ ছয় মাস আগে বিভিন্ন দেশ থেকে পশু এনে মোটাতাজা করে আজমানে পশু মার্কেটে বিক্রি করেন। তার এখানে বাংলাদেশি ক্রেতা বেশি। এছাড়া স্থানীয় নাগরিকসহ পাকিস্তান, ভারত মিশরের ক্রেতাও আছে। নিজে বাংলাদেশি হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনেক ছাড় দিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।

প্রবাসী বাঙালি ক্রেতা মোহাম্মদ  ইসতিয়াক বলেন, প্রবাসের মাটিতে পশু হাটে এসে মনে হচ্ছে দেশের কোনো পশু হাটে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে এসেছি৷ দেখে শুনে গরু কিনব। দাম হিসেবে দেশের টাকা হিসাব করলে মনে হচ্ছে তেমন তফাত নেই। ঈদের দিনে দেশকে মিস করলেও প্রবাসী সহকর্মীদের সাথে আনন্দ উপভোগে কিছুটা ভোলা যায়, দেশে পরিবারের সাথে না থাকার অভাব দূর হয়। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর