আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলরপ্রার্থীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক কাউন্সিলরপ্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারদলীয় কাউন্সিলরদের যোগসাজশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসাধু সদস্যের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ডিএসসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইশরাক এ কথা বলেন। তার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম-সচিব আবদুল বাতেন।
পরে ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা আমাদের অভিযোগ লিখিত আকারে জানিয়ে গেলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। এর আগে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ আমরা প্রার্থীরা যখন কাগজপত্র জমা দেই, তখন প্রতিটি মামলার কথা উল্লেখ করি। তাহলে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করার পর ওই প্রার্থী যখন বের হন তখন তাকে অনুসরণ করে গ্রেফতার করা হলো কেন?
অভিযোগ অনুসারে কাউন্সিলর প্রার্থীরা হুমকি পাচ্ছেন; ইশরাক হোসেন নিজে কোনো হুমকি পাচ্ছেন কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ মেয়রপ্রার্থী বলেন, আমি কোনো হুমকি পাইনি, তবে আমি হুমকিতে ভয় পাওয়ার মানুষ নই।
এদিকে ডিএসসিসি নির্বাচনে ২৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ডিএসসিসির রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গোপীবাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলো বাতিল করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের ২৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
ডিএসসিসির মেয়রপ্রার্থী হিসেবে যে সাতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের সবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডিএসসিসির মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, এনপিপির বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল