ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিদেশীদের উদ্বেগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, 'তারাও গর্হিত কাজ করেছে'
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশী কূটনৈতিকরা গর্হিত কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস ও তার সহধর্মীনি।

বিদেশী কূটনৈতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী? জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করতেই পারে। কারণ বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস ভাল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর কীভাবে নির্বাচন হয়েছে? ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। অথবা ১৫ ফেব্রুয়ারি স্টাইলের ভোট, মাগুড়া মার্কা ভোট অথবা মিরপুর-১০ স্টাইলের ভোট আমাদের দেশে হয়েছে। আমরা সে অবস্থা থেকে উত্তরণ করেছি। বরং যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাদের দেশে ভোট কীভাবে হয় আমরা সেটা জানি। তবে তারা একটা কাজ ভাল করেননি, তাদের (বিভিন্ন দূতাবাসে) বাংলাদেশের অনেক নাগরিক চাকরি করেন। তাদেরকে তারা বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, এটা অত্যান্ত গর্হিত কাজ করেছেন। তারা বিদেশী হয় কিভাবে? বিদেশী পর্যবেক্ষক হয় কিভাবে? তারা তো সেখানে চাকরি করেন। তাদেরকে বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাতে পারেন না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এদের মধ্যে অনেক বৈরী লোকও আছে, যাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। কারও পিতা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। কেউ ছিল স্বাধীনতা বিরোধী, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মা-বোনদের ইজ্জত লুটেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের উত্তরসূরি আছেন যাদের নাম দেওয়া হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন এটা কীভাবে গ্রহণ করলো? এটা ঠিক করেনি। কারণ নির্বাচন কমিশনের আইনে স্পস্ট বলাই আছে, বিদেশী পর্যবেক্ষক হতে হলে বিদেশী নাগরিক হতে হবে। দেশী নাগরিক কিভাবে বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্ড গ্রহণ করেছে? এটা তারা গ্রহণ করে ঠিক করেননি। তাদের উচিত ছিল দেশী নাগরিককে বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে ভোট কেন্দ্রে আসতে না দেওয়া। তারা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে পারেন। কিন্তু পর্যবেক্ষক হিসেবে নয়।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর