ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জিতেও হেরেছেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী, ফলাফল স্থগিত
অনলাইন ডেস্ক

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফল জালিয়াতি করে ভোটে হারিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুললেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর। একটি কেন্দ্রের ভোটের সংখ্যা উল্টে দিয়ে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রথম দফায় পাত্তা না পেলেও প্রমাণ সমেত দ্বিতীয় দফায় রির্টার্নিং কর্মকর্তাকে জানালে ফলাফল স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া হিসাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জানতেন জিতেছেন ২৭ ভোটে। কিন্তু রাতে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি দেখতে পান টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েদ আদেল এর কাছে তিনি ২১০ ভোটে হেরে গেছেন।

শনিবার রাতেই রিটার্নিং অফিসে গিয়ে ধর্না দেন। কিন্তু কেউই কানে তোলেননি তার অভিযোগ। পরে জোগাড় করলেন ইভিএম এর কপি। হিসাব কোষে দেখলেন জেতার কথা তারই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, সব যোগ-বিয়োগ করার পর দেখি আমি জিতেছি। তো আমি যে জয়ী হয়েছি আমার তো একটা ঘোষণাপত্র দরকার। আমি রাতে যাই সেগুনবাগিচায়। তখন আমাকে বলা হয়, 'আপনি তো ফেল করেছেন।'

ঝুড়ি মার্কায় প্রতিদ্বন্দিতা করা আলমগীর বলছেন, ইভিএমএর প্রিন্টেড কপির হিসাবে দক্ষিণ সিটির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-২ পুরুষ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট। কিন্তু ফলাফলে দেখানো হয়েছে তিনি পেয়েছেন ২০২টি ভোট। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইরোজ আহমেদের ঘুড়ি মার্কায় পড়েছে ৪৩৯টি ভোট। আর ঘোষণাকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েদ আদেলের টিফিন ক্যারিয়ার মার্কায় পড়ে ২২৬টি ভোট।

তিনি আরও বলেন, গড়ে সব সেন্টার মিলিয়ে ওনাকে দেখাচ্ছে ২৪৪৫ ভোট আর আমাকে দেখাচ্ছে ২২৩৫ ভোট। তাঁর মানে আমি ২০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি। তখন আমি বললাম যে এটা আপনি কি করলেন, এই ৪৪৯ ভোট তো আমার, এটা তো আপনারা মিসিং করছেন।

পরে রবিবার রির্টার্নিং অফিসে গিয়ে কাগজপত্র সমেত আবারো বিষয়টি জানান রির্টানিং কর্মকর্তাকে। পরে সন্ধ্যায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। কারণ স্পষ্ট না করলেও ফল স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে, ইভিএম হওয়ার পরও কিভাবে এটি ঘটলো তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন আলমগীর। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব



এই পাতার আরো খবর