গুটি কয়েক ইট কিংবা চট- বাঁশের ছাউনি
ছেঁড়া শাঁড়ির টুকরো কাপড় কিংবা লুঙ্গির ছাট, সিনেমাওয়ালা খবরের কাগজে মোড়কে দেওয়া ঘের মাটির জায়গা হতে পারে তিন, চার কিংবা পাঁচ হাত।
আবুল কিংবা অমল, শিউলি কিংবা বিমলা প্রতি রাতে স্বপ্ন আঁকে জীবন জয়ের খেলা। রাত পোহাতে, আলো ফুটতেই বেরিয়ে পরে দূর হাতে, প্লাস্টিক জমানোর বস্তা কিংবা বেণী গাঁথা ফুল।
কখনও নুন ভেজা ভাত আর আলু সেদ্ধ কখনও বা পাউরুটি, আর কলা কিংবা নিশ্চুপ মন্দ। উসখো জটা চুল আর গামছা ভেজা সময় রোদ্দুর পোঁড়া শরীর আর হাড় গোর গেছে ক্ষয়।
কড়া পোরেছে দু হাত পা এ, ছলছল চোখ ঘামের গন্ধ আর ভেজা শরীরের করুন আর্তনাদ। মাতালি জীবন আর পাগলা মনের ভাঙ্গা এ বস্তিঘরে, হাজার স্বপ্ন লুকিয়ে থাকে গহিন অন্ধকারে।
রাস্তার বাতিখানি আলো দিয়ে রাখে জানি, ছেঁড়া বালিশে মাথা রাখলেই দেখা যায় চাঁদখানি। কখনওবা জড়িয়ে একখানা চাদর দুখানা মুরিয়ে, প্রেম ভালবাসায় কষ্ট যে যায় উড়িয়ে।
বর্ষার পানিতে ভিজে যায় বালিশ, কাপড় আর কাথামালা, অপেক্ষার প্রহর বেলা গুণে শুকাবে কখন রাঁধবার চুলা। নেই কোনো অতিথি, নেই কোন কোলাহল অতিথি বেশে থাকে বিড়াল, কুকুর আর জঙ্গল।
বিডি প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-১৫