ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তোমরাও কাঁদো আমরাও কাঁদি
আবু ওয়াহেদ:
প্রতীকী ছবি

আমার দেশের আগস্ট নাকি শোকের বার্তা আনে,

তোমরাও কাঁদো আমরাও কাঁদি, কার কাঁদার কী মানে? আগস্ট আসলে কেঁদে ওঠো সখা! কাঁদার কারণ জানো কি রে বোকা? জানলে কাঁদতে আমাদের মতো তোমার ও কান্না ছেড়ে। রেসকোর্সের সিক্ত মাটি, বেদনা যে আজ উঠেছে বেড়ে।

আগস্ট মোদের হৃদয়ের ক্ষত, কাঁদো যদি পারো আমাদের মতো, জানো কি বন্ধু? ঊনসত্তর, পনেরো আগস্ট দিনে সবুজ বাংলা কালো হয়েছিলো কার সে তাজা খুনে? কে হলো শহীদ কার ক্রোধানলে,

জানো কি সখা? জানো না বলে- তোমরা তো আজ পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট স্মরে কাঁদতে চাও না তবুও কাঁদো, জ্ঞানীরা যে হেসে মরে। আমরা কাঁদি নিভৃতে গোপনে, আঁধারে কিংবা ঘরের ও কোণে, পরমের কাছে ফরিয়াদ করি শোক নয় দাও শক্তি, শাহাদাৎ তাঁর কবুল করো। এই তো পরম ভক্তি।

তোমরা কাঁদো কালো কোটি পরে, তামাকের পাইপ, বত্রিশে স্মরে, স্বার্থ-রুমালে মুখ ঢেকে কাঁদো স্বার্থ ফুরালে হাসো। মেকি ও কান্না দেখে বুঝি তুমি স্বার্থই ভালোবাসো। তোমাদের কাঁদা কুম্ভীরও কাঁদে, বলো কী তফাৎ এ দু'য়ের ফাঁদে?

"মাছের মায়ের পুত্রশোকে" কেনো এ মাতম তবে? এই যে মাতম আজকে আছে কালকে কি আর রবে? বুকের বামে কালো-রং ব্যাচ, শোকের প্রকাশ হয়ে গেল, ব্যাস্! মুখের মাঝে একগাল হাসি, ও হাসি কিসের ভাই? তাই তো বলি ভেতরে তোমার শোক নাই, শোক নাই। তোমরা কাঁদার ভাড়া পাও ভাই, আমরা কাঁদি বলো তো কী পাই? বলতে জানি পারবে না ভাই, কাঁদতে তো পারো, ঠিক? তোমরাও কাঁদো আমরাও কাঁদি, দুই কাঁদা দুই দিক।

কবি: প্রাক্তন শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/১৫ আগস্ট ২০১৭/হিমেল



এই পাতার আরো খবর