ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আমার লুক রিক্রিয়েশনের গল্প
ঐশ্বর্য হোসেন
ঐশ্বর্য হোসেন

যখন লকডাউন শুরু হলো তখন আশেপাশের সবাইকে অনেক রকম ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম করতে দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হই। বাংলাদেশের সেরা অনলাইন বেজড ট্যালেন্ট গ্রুপ "বাংলাদেশ গট ট্যালেন্ট - বিজিটি" এ অনেক মানুষকে নাচ-গান-মেকাপ ইত্যাদি করতে দেখে আমারও আলাদা কিছু করার ইচ্ছা জাগে। 

বরাবরই আমি ক্রিয়েটিভ মেকাপ এবং ফেস আর্ট করতে পছন্দ করি। যেহেতু লকডাউনের এই সময়টাতে হাতে অনেক সময় ছিলো, আমি ভাবলাম আমার প্রিয় বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের করা সেরা কিছু চরিত্রে তার যেই সাজ এবং পোশাক ছিল, তা রিক্রিয়েট করি। যেই ভাবা সেই কাজ। তার আলাদা আলাদা চরিত্রে আলাদা রকমের গহনা, পোশাক এবং সাজ দেখা যায়, এবং তাই আমি অনুকরণ করি। প্রত্যেকটি লুকের মেকাপ আমি নিজে করেছি, ছবি তোলা এবং এডিটও আমার নিজের করা। নিজে টাইমার দিয়ে ছবি তুলতে একটু কষ্ট হয়েছে কিন্তু তার ফলাফল ভালোই ছিলো। 

লকডাউনে সমস্ত মার্কেট বন্ধ থাকায় তাতে প্রয়োজনীয় গহনা কিনতে না পারায় কিছু গহনা আমি নিজেই হাতে বানিয়ে নিয়েছিলাম কাগজ, লেইস এবং পুঁতি দিয়ে।

এরপর তা ট্যালেন্ট বেজড গ্রুপগুলোতে আপলোড দেওয়ার পর ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং গণমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। তা দেখে আরো অনেকে অনেক রকম লুক রিক্রিয়েট করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

কিছু মানুষ আবার লুক রিক্রিয়েশনের অর্থ না বুঝে ভাবছেন আমি নিজেকে দীপিকার সাথে তুলনা করেছি যা নিতান্তই ভুল ধারণা। দীপিকার তুলনা সে নিজে এবং আমার তুলনাও আমি নিজেই। আমি শুধু তার সাজ এবং পোশাক অনুকরণ করে তার কিছু ছবি রিক্রিয়েট করেছি। এই ছিলো আমার লুক রিক্রিয়েশনের গল্প।

লেখক: তিতুমীর কলেজে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী

ইনস্যানিটি (অনলাইন বিজনেস) এর স্বত্ত্বাধিকারী

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর