ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাত ব্যথা ও শারীরিক অক্ষমতার চিকিৎসা নিয়ে কিছু কথা
আদিল রহমান
প্রতীকী ছবি

বাত-ব্যথা একটি অপ্রীতিকর অনুভূতি এবং মানসিক অভিজ্ঞতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যথাকে একটি রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। একটা সময় ছিল, যখন মানুষ সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো কিংবা পঙ্গু হয়ে মানবতের জীবনযাপন করত। তখন মানুষ বাত ব্যথা ও প্যরালাইসিসকে অভিশাপ হিসেবে মেনে নিতো। তবে, বিজ্ঞানের সবকটি শাখার উন্নতির ধারাবাহিকতায় থেমে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানও। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখাটি উন্নয়নের অবদানে বাত-ব্যথা প্যরালাইসিস আক্রান্ত রোগীদের কমেছে মৃত্যু হার, মানুষ ফিরে পাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন, ফিরে পাচ্ছে তার মুখের হাসি। দূর হয়েছে অভিশাপ নামের ভ্রান্ত ধারণা। সেই শাখাটির নাম 'ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা'

স্বাস্থ্যের ৪টি অঙ্গ যথা ১. প্রতিরোধ, ২. প্রতিকার,  ৩. আরোগ্য ও ৪. পুনর্বাসন।

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এদেশে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন খাত ছিলো একদমই উপেক্ষিত। তবে এই পুনর্বাসনের গুরুত্ব প্রথম ফুটে ওঠে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার সময়। ১৯৭২ সালে পুনর্বাসন সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় রিহ্যাবিলিটেশন ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ফর ডিজঅ্যাবলড (আর.আই.এইচ.ডি.) যার পরবর্তী নামকরণ করা হয় নিটোর এবং লোকমুখে যা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত। ১৯৭২ সাল থেকে এই হাসপাতাল 'ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক' গড়ার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছে এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় স্নাতক সম্পন্ন করা এক স্বপ্নচারী সাহসী ব্যক্তিত্ব ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তার কেবলই অনুভব হতে থাকে পুনর্বাসন সেবাটা বেসরকারি কোনো পর্যায়েই যথাযথ নেই। এই তাগিদ থেকেই এক সময় ছেড়ে দেন প্রভাষকের দায়িত্ব এবং 'আস্থা বিশ্বাস ও নির্ভরতায় অবিচল' স্লোগান নিয়ে শ্যামলীতে গড়ে তোলেন 'ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)' যার যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে। 

ডিপিআরসি (DPRC) পেইন, প্যারালাইসিস ও আর্থ্রাইটিস সেন্টার: দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় অপারেশনবিহীন মানসম্মত পেইন, প্যারালাইসিস ও আর্থ্রাইটিস চিকিৎসায় শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে ডিপিআরসি। অপারেশনবিহীন হাটু, কোমর, ঘাড় ও মেরুদণ্ড ব্যথার চিকিৎসা করা হয়। শতভাগ সফলতার নিশ্চয়তায় অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট দ্বারা সেবা প্রদান করা হয়।

ডিপিআরসি (DPRC) অ্যাডভান্সড রিহেব-ফিজিও এবং থেরাপি সেন্টার: দেশ যত উন্নত হচ্ছে তার সাথে সাথে মানুষের চিন্তা চেতনায় বিকাশ ঘটছে। এই দিকটি লক্ষ্য রেখে ডিপিআরসি নিয়ে এসেছে থেরাপিতে আধুনিকতার ছোঁয়া। উন্নতমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজের ব্যবহার ও অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট এর মাধ্যমে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদাভাবে থেরাপি দেয়ার সুব্যবস্থা দিচ্ছে একমাত্র ডিপিআরসি। ইলেকট্রিক মেশিনারিজের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের থেরাপি।

ডিপিআরসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ্ প্রধান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিদেশ থেকে এসে ডিপিআরসিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ রোগী বিনা অপারেশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে আমরা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যারা এখনও বিদেশে চিকিৎসার কথা ভাবছেন তাদের বলব, বিদেশ যাওয়ার আগে অন্তত একবার ডিপিআরসিতে আসুন।’

 



এই পাতার আরো খবর