ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মিয়ানমার জেনারেলদের নিষিদ্ধ করল ইইউ
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকারীদের বিচার করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের জেনারেলদের নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করেছে। এ কারণে ইইউ এবং তার সদস্য দেশগুলো মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীপ্রধান এবং ঊর্ধ্বতন সেনা কর্তাদের সফরের আমন্ত্রণ বাতিল করল।’

পাশাপাশি নেপিদোর সঙ্গে ‘চলমান সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা পর্যালোচনা’ করে দেখবে ইউরোপ। কূটনৈতিক ভাষায় যার অর্থ হল- এসব সহযোগিতা বাতিল করা হতে পারে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, পদক্ষেপগুলো নেয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

এতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিপীড়ন ও বর্বর হামলার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থীদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে হবে। রাখাইনে জাতিসংঘ, রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ পূর্ণ বাস্তবায় তথা দেশহীন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইইউ বলেছে, এ কাজে তারা মিয়ানমার সরকারকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

বিবৃতিতে অং সান সু চির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার করা হবে এবং রাখাইনে আন্তর্জাতিক নজরদারিকে তার সরকার ভয় পায় না।

ইইউ বলেছে, রাখাইনে শিশুদের ওপর বর্বর হামলাসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ আছে। এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তথ্যানুসন্ধান মিশনকে অবাধে অবিলম্বে রাখাইনে তদন্তের সুযোগ দিতে হবে।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের তাদের আদি নিবাসে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক তৈরির জন্য নেপিদোকে পরামর্শ দেয়া হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ গঠনমূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে এ দেশের প্রশংসা করা হয় বিবৃতিতে।   বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর ২০১৭/এনায়েত করিম

 



এই পাতার আরো খবর