মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করে মার্কিন সিনেটে একটি বিল আনা হয়েছে।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয়পার্টির সিনেটররা মিলে এ বিল এনেছেন। এই সিনেটরদের মধ্যে আছেন জন ম্যাককেইন- যিনি সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার উপস্থাপিত হওয়া এ বিলটিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করা বা তাদের সহায়তা দেয়া কাটছাঁট করার কথা আছে। এছাড়া মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার কথা আছে- যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা পুনর্বহাল করা হবে।
এ ছাড়াও এতে মিয়ানমারের ওপর আমদানি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর আমদানির ওপরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা আছে।
ম্যাককেইন পরে এক বিবৃতিতে বলেন, 'মিয়ারমারে নিরাপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করার জন্য যেসব সামরিক কর্মকর্তা দায়ী - তারা এ বিলের আওতায় পড়বে, এবং এটা স্পষ্ট করে দেয়া হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এসব নৃশংসতার পক্ষে দাঁড়াবে না।
এ বিল এমন এক সময় আনা হলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ায় এক সফরে রওনা হয়েছেন, এবং এতে তিনি মিয়ানমারসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এক সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মিয়ানমারের এ সহিংসতার ফলে ৬ লাখের বেশি লোক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়ী করে, অং সান সুচির বেসামরিক সরকারকে নয়।
ডেমোক্র্যাট এলিয়ট এঞ্জেল বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন। 'সর্হিংসতা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এবং বার্মার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর অর্থবহ বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।' তারা শরণার্থীরা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন। তবে এ ব্যাপারে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, আজই মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হেনশ বাংলাদেশ সফরের সময় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/০৪ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত