ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়লো চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশ! এবার কী হবে?
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

চলতি বছরের ১৪ জুলাই ভারতের চন্দ্রযান ৩-কে সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছিল এলভিএম৩এম৪ লঞ্চ ভেহিকেল। ইসরোর সেই মহাকাশযানের ওপরের অংশই বুধবার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ফের ঢুকে পড়লো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। সমুদ্রে আছড়ে পড়তে চলেছে চন্দ্রযানের এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশটি। বিষয়টি নিয়ে বুধবারই একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

বিবৃতিতে ইসরো জানায়, গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান ৩-কে পৃথিবীর কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপন করা এলভিএম৩এম৪ লঞ্চ ভেহিকেলের আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজটি বুধবার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ফের একবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে। এই লঞ্চ ভেহিকেলটি খুব সম্ভবত উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়বে। এই যন্ত্রাংশ ভারতের আশেপাশে ভূপতিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।  

ইসরো জানিয়েছে, ভারতীয় সময় বুধবার দুপুর ২টা ৪২ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এলভিএম৩এম৪  লঞ্চ ভেহিকেলের আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজটি। জানা গেছে, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের ১২৪ দিনের মধ্যেই এই যন্ত্রাংশটি ফের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলো।

চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের পর যখন সেটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়, তারপরই ‌‌‌'প্যাসিভ' হয় এলভিএম৩এম৪ লঞ্চ ভেহিকেলের আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজটি। 'ইন্টার-এজেন্সি স্পেস ডেব্রি কোঅর্ডিনেশন কমিটি'র সুপারিশ অনুযায়ী সেই কাজ চলে বলে জানিয়েছে ইসরো।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায়, এলভিএম৩এম৪ লঞ্চ ভেহিকেলের আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজে যত জ্বালানি ছিল তা মহাকাশেই 'ত্যাগ' করা হয়। যখন এই যন্ত্রাংশটি ফের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এবং ভূপতিত হবে, তখন যাতে বিস্ফোরণ না ঘটে এবং বড় ধরনের কোনও ক্ষতি না হয়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ।  

ইসরো জানিয়েছে, 'প্যাসিভেশন' এবং মিশন পরবর্তী 'ডিসপোজাল' করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গাইডলইন মেনেই। মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারত যে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়িত্ব কায়েম করতে চায়, সেই ইচ্ছারই প্রতিফলন এটি। সূত্র: এনডিটিভি

বিডি প্রতিদিন/আজাদ



এই পাতার আরো খবর