নাসার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, সামরিক উদ্দেশ্য পূরণে চীন বেসামরিক কর্মসূচির আড়ালে তার মহাকাশ সক্ষমতা জোরদার করছে।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের বলেন, চীন অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে গত ১০ বছরে। কিন্তু সেগুলো খুব, খুবই গোপনীয়।
সতর্ক করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিল নেলসন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তাদের তথাকথিত বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচির বেশিরভাগই একটি সামরিক কর্মসূচি এবং আমি মনে করি, কার্যত, আমরাও একটি দৌড়ের মধ্যে রয়েছি।
তিনি বলেন, তিনি আশা করেন বেইজিংয়ের হুঁশ ফিরবে এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য তারা মহাকাশে বেসামরিক কার্যক্রম চালাবে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নাসার ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নেলসন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় চীনের আগে চাঁদে অবতরণ করা উচিত। কারণ, উভয় দেশই চন্দ্রাভিযানে মনস্থির করছে। তবে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেইজিং যদি আগে চাঁদে যায় তাহলে তারা বলতে পারে, ‘এটা আমাদের ভূখণ্ড, আপনারা বাইরে থাকুন।’
নেলসন পূর্বে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে ‘একটি মহাকাশ প্রতিযোগিতায়’ আছে। সতর্ক করে তিনি বলেন, চীন চাঁদের সম্পদ সমৃদ্ধ এলাকার ‘মালিকানা’ দাবি করতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল