ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এবার প্রস্রাবকে সুপেয় পানিতে পরিণত করবে স্পেসস্যুট
অনলাইন ডেস্ক

প্রস্রাবকে সুপেয় পানিতে পরিণত করতে সক্ষম এমন একটি স্পেসস্যুট আবিষ্কারের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে নভোচারীরা মহাকাশে নির্বিঘ্নে আরও বেশি সময় থাকতে পারবেন।

স্পেসস্যুটের এই প্রোটোটাইপ প্রস্রাব সংগ্রহ করার পর পরিশোধন করে ড্রিঙ্কিং টিউবের মাধ্যমে নভোচারীকে ফেরত পাঠাতে পারে। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে মাত্র পাঁচ মিনিট।

চলতি দশকের শেষদিকে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামে পোশাকটি কাজে লাগানোর আশা করা হচ্ছে। আর্টেমিস কর্মসূচির আওতায় পৃথিবীর বাইরে কীভাবে জীবনধারণ ও কাজ করা যায়, তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে।

অন্যতম ডিজাইনার, গবেষক সোফিয়া এটলিন বলেছেন, এতে একটি ভ্যাকিউয়াম-ভিত্তিক বাহ্যিক ক্যাথিটার (মূত্রনিষ্কাশন যন্ত্র) রয়েছে। আর আছে একটি অভিস্রবণ ইউনিট। নভোচারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিচেনায় একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ স্যুটের মাধ্যমে নভোচারী নিরবচ্ছিন্ন পানযোগ্য পানি পাবেন।

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) ইতোমধ্যে নিয়মিত মূত্র ও ঘাম রিসাইকেল করা হচ্ছে। তবে নভোচারীরা অভিযানের জন্য মহাকাশযানের যখন বাইরে যাবেন, সেই সময়ের জন্য একই ধরনের রিসাইকেল ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানান এটলিন। কারণ, স্পেস স্টেশনের রিসাইকেল ব্যবস্থা স্পেসস্যুটে কাজ করে না। 

এখনকার পোশাক প্রায়ই ছিদ্র হয়ে যায়। এছাড়া এগুলো অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকরও বটে। এ কারণে অনেক নভোচারী মহাশূন্যে বের হওয়ার আগে খাওয়া ও পানি পান কমিয়ে দেন, আবার অনেকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বা মূত্রনালির সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

নতুন স্পেসস্যুট ডিজাইন করার সময় নভোচারীদের ওপর জরিপ চালিয়েছেন এটলিন। তিনি বলেন, 'হরহামেশাই এমএজি লিক হয়ে যায়। নভোচারীরা বলেন, একপর্যায়ে তারা আর প্রস্রাব আর ঘামের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। তারা তখন নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেন: "আমি নভোচারী, এই ভার আমাকেই বইতে হবে।"

বিডি প্রতিদিন/এনইএচ



এই পাতার আরো খবর