ঢাকা, রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কার্বন নির্গমন বন্ধ করার পথে নরওয়ের দ্বীপমালা
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের এক প্রান্তে অবস্থিত স্ভালবার্ড দ্বীপমালা তার শস্য ভল্টের জন্য পরিচিত। এবার সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানি ত্যাগ করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একমাত্র কয়লাখনিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

সুমেরু বৃত্তের ওপরে অবস্থিত স্ভালবার্ডের লোংইয়ারবেইয়েনে ২৪ বছর বয়সী মিয়া স্লেটাস বাস করেন। তিনি সেখানে নরওয়ের শেষ কয়লাখনিতে কাজ করেন, যা আগামী বছর বন্ধ হয়ে যাবে। খনির মূল অংশে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি, ইলেকট্রিক যান এবং পায়ে হেঁটে যেতে হয়। 

মিয়া খনির সুড়ঙ্গ স্থিতিশীল করার কাজ করেন, যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। তিনি বলেন, "সবসময় প্রথমেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়।"

নরওয়ের স্ভালবার্ড দ্বীপমালার সাত নম্বর মাইনটি ২০২৫ সালে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ বিকল্প জ্বালানির উৎস বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মিয়া স্লেটাস বলেন, "আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন ২০৪৫ সাল পর্যন্ত খনিটি চালু রাখার পরিকল্পনা ছিল। এক বছর পরেই বলা হলো, খনি বন্ধ হচ্ছে। এখনো আমি শান্ত রয়েছি।"

লোংইয়ারবেইয়েনের মেয়র টেরইয়ে আউনেভিক বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের পথে এটি প্রথম ধাপ। আমরা ডিজেল থেকে বায়ু ও সৌরশক্তির মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানিতে যেতে চাই।"

স্ভালবার্ডে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি চালু করার দায়িত্বে আছেন রাষ্ট্রীয় স্টিউরে নর্শকে কোম্পানির কর্মী মন্স ওলে সেলেভল্ড। তারা গ্রিন এনার্জির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। 

লোংইয়ারবেইয়েনের বাইরে ইসফেয়ার্ড রাডিও এলাকায় সৌর প্যানেল পার্ক প্রকল্প চালু আছে। শহরের মধ্যেও সোলার প্যানেল বসানো হচ্ছে। বসন্তকাল থেকে স্ভালবার্ডে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের আলো পাওয়া যায়, যা এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য উপযোগী।

মন্স ওলে সেলেভল্ড বলেন, "আমার পেছনে ছয়টি সোলার ফেসিলিটির একটি দেখতে পাচ্ছেন। আমরা প্রায় সব ছাদের ওপর সোলার প্যানেল বসিয়েছি। এটি দেখতে বেশ ভালো বলতে হয়।"

বায়ু ও সৌরশক্তির পাশাপাশি স্ভালবার্ডে জিওথার্মাল এনার্জি ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা চলছে।



এই পাতার আরো খবর