ইসরায়েলি বাহিনী আবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছেন। নাকুরা শহরের কাছে এ হামলা ঘটেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় একটি যানবাহনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলি বাহিনীও এই রাতে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা ছিল তাদের মূল টার্গেট।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নতুন করে সংঘাতের দিকে মোড় নিচ্ছে। একদিকে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহও পাল্টা রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সহিংসতা বেড়েছে এবং যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজবুল্লাহ সংগঠনটি ইরানের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সমর্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম আধুনিক সামরিক শক্তিগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। হিজবুল্লাহর প্রধান শেখ হাসান নাসরুল্লাহ দাবি করেন, তাদের সংগঠনে প্রায় এক লাখ যোদ্ধা আছে। যদিও বিভিন্ন নিরপেক্ষ সূত্র মতে এই সংখ্যা ২০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে হতে পারে। এদের অনেকেই সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।
হিজবুল্লাহর হাতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছোট আকারের আনগাইডেড ভূমি-থেকে-ভূমি আর্টিলারি রকেট। তবে ধারণা করা হয়, তাদের বিমান ও রণতরী-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও আছে, যা ইসরায়েলের ভেতরে গভীর আঘাত হানতে সক্ষম।
গাজা ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতা বেড়ে গেছে। এর ফলে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল