সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শীতল আবহাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি ব্যপক আকারে বাড়িয়ে দেয়। নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে ‘জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’তে।
ঠাণ্ডা আবহাওয়া হার্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ড. ওয়েনলি নি। তিনি খুঁজে পেয়েছেন হার্ট অ্যাটাক বা ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনস (এমআই)’-এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় কম তাপমাত্রা ও শীতল আবহাওয়ার শিকার হওয়ার মতো পরিস্থিতি।
দৈনিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম তাপমাত্রা যদি অন্তত টানা দুই দিন থাকে, তবেই তাকে এ গবেষণায় শীতল আবহাওয়া হিসাবে গবেষকরা বিবেচনা করেছেন।
ড. নি বলেছেন, ‘দেশব্যাপী পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, নিম্ন বায়ুর তাপমাত্রা ও শীতল আবহাওয়ায় অল্প সময় ধরেও উন্মুক্ত অবস্থায় থাকলে তাতে দুই থেকে ছয় দিন পর মাইয়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, কারও দৈহিক তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এ ধরনের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বেশি।’
যখন হার্টের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক ঘটে। সাধারণত রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণে এমনটি হয়ে থাকে, যার ফলে হার্টের পেশিতে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না।
এমন ব্লকেজ গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, যেখানে হার্টের আক্রান্ত অংশ একেবারে নিথর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এর আগের গবেষণায় দেখা গেছে, কার্ডিওভাস্কিউলার সিস্টেম উষ্ণ তাপমাত্রার চেয়ে শীতল তাপমাত্রায় বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
সুইডেনে গবেষণাটি করা হয়েছে। শীতল জলবায়ু ও টানা শীতল আবহাওয়ার জন্য পরিচিত।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল