ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লড়াই করে চেষ্টা করছি ফিরে আসার: ক্রিস কেয়ার্নস
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

চারবার ওপেন হার্ট সার্জারি। তিনি বেঁচে ফিরবেন এমন আশাও হয়তো অনেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একজন ক্রিকেটার। লড়াই তার মজ্জায় মজ্জায়। তিনি নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ক্রিস কেয়ার্নস। 

চলতি বছরের আগস্ট মাস টার হার্টের পরিস্থিতি এমন হয় যে পরপর চারবার ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হয়। আর অপারেশন টেবিলেই স্পাইনাল স্ট্রোক। লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়ে দিতে হয় সাবেক নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডারকে। জ্ঞান ফিরলে জানা যায় কোমরের নিচ থেকে প্যারালাইজড। এই অবস্থাতেই তার মনে হয়েছিল আর কোনও দিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না। পারবেন না নিজের পায়ে হাঁটতে। কিন্তু চার মাস পর ছবিটা বদলে গেছে। আবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন ক্রিস কেয়ার্নস। ধীরে ধীরে শুরু করেছেন শরীর চর্চা।

৫১ বছরের সাবেক এই কিউই অলরাউন্ডার বলছেন, কখনও ভাবিনি, আবার নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারব। মনে হচ্ছিল বাকি জীবনটা কাটবে হুইল চেয়ারে। সেভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছিলাম। ১৪ সপ্তাহের একটা অসম লড়াই। ওপেন হার্ট সার্জারি যখন চলছে, তখনকার কোনও স্মৃতি আমার মনে নেই। মনে আছে সেদিন আমার বাচ্চাদের স্কুলে ছাড়তে গিয়েছিলাম। এরপর যখন চোখ খুললাম আমি সিডনির হাসাপাতালে। তখন জানতে পারি ৯ দিন পর জ্ঞান ফিরেছে আমার।

ধীরে ধীরে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন কেয়ার্নস। চিকিৎসকদের পরামর্শে চলছে রিহ্যাব প্রক্রিয়া। আবার শুরু করেছেন জিম। কিছুদিন আগে সেই ছবিও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন তিনি। কেয়ার্নস বলছেন, একজন খেলোয়াড় বলেই হয়তো লড়াই করে আবার চেষ্টা করছি ফিরে আসার। আগামী এক থেকে দুইটি বছর খুব জরুরি। সম্পূর্ণ জীবনের ছন্দে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয়তো নেই। পায়ের পেশিতে শক্তি ফিরে পেতে আরও মাস তিনেক সময় লাগবে। এরপর শুরু হবে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানো লড়াই। আবার নিজের পায়ে হাঁটার লড়াই।

  বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর