ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যে কারণে ফাইনালে উঠেও মন খারাপ নাদালের
অনলাইন ডেস্ক
রাফায়েল নাদাল

রাফায়েল নাদাল শুক্রবার তার ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে গেছেন। তবে রোলাঁ গারোর সেমিতে আলেকজান্ডার জেরেভ ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হন। পুরো লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি জেরেভ। আর নাদালও এভাবে ফাইনালে ওঠায় একেবারেই খুশি নন।

রবিবার নাদাল তার ৩০তম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালে খেলবেন। ফাইনালে তিনি ক্যাসপার রুডের মুখোমুখি হবেন। নরওয়ের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনও গ্রান্ডস্ল্যাম ফাইনালে উঠলেন ২৩ বছরের ক্যাসপার। ক্যাসপার রুড ৩-৬, ৬-৪, ৬-২ ও ৬-২ ব্যবধানে মারিন সিলিসকে হারান। জয়ের পর রুড বলেন, “এটা আমার কাছে একটা দারুণ ম্যাচ ছিল। আমার শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম সেটে ভাল খেলেছিল মারিন।”

এদিকে নাদাল ৭-৬ (১০/৮),৬-৬ যখন এগিয়ে ছিলেন, তখন জারেভ ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য হন। ম্যাচের শেষে ফাইনালে ওঠার বিন্দুমাত্র উচ্ছ্বাস ছিল না নাদালের মধ্যে। বরং তাকে বিচলিত করে জেরেভের কান্না। নাদাল স্বীকার করে নেন, অতিমানবিক টেনিস খেলছিলেন জেরেভ।

১৫ হাজার দর্শক তার যন্ত্রণার সাক্ষী ছিল। কাঁদতে কাঁদতে হুইলচেয়ারে করে কোর্ট ছাড়তে হয় জেরেভকে। তবে পরে ২৫ বছরের তরুণ ক্র্যাচ হাতে কোর্টে ফেরেন এবং ম্যাচটি ছেড়ে দেন। মন খারাপ হয় নাদালের। যেকোনও বড় ক্রীড়াবিদের কাছে দাপটের সঙ্গে জিতে ফাইনালে ওঠার আনন্দ হাজার গুণ বেশি। চোট পেয়ে প্রতিপক্ষ ম্যাচ ছেড়ে দিতে বাধ্য হলে তাতে যে গৌরব নেই।

১৩বারের ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল বলছিলেন, “আপনি যদি প্রকৃত মানুষ হন, তবে একজন সহযোদ্ধার জন্য দুঃখিত হবেন। এটা ওর জন্য খুবই কঠিন এবং খুবই দুঃখজনক। ও একটি অবিশ্বাস্য টুর্নামেন্ট খেলছিল এবং ও এই সফরে ভালো ছন্দে ছিল।”

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “আমি জানি, ও একটি গ্র্যান্ডস্লাম জিততে কতটা লড়াই করেছে। এই মুহূর্তে ও দুর্ভাগ্যের শিকার। আমি নিশ্চিত যে ও একটি নয়, অনেক বেশি সাফল্য পাবে। আমি ওর জন্য শুভ কামনা করি। আমার কাছে রোলাঁ গারোর ফাইনাল খেলাটা একটি স্বপ্ন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একই সঙ্গে, এটি এভাবে ফাইনালে ওঠা...ওর মতো ছেলেকে কাঁদতে দেখা নিঃসন্দেহে কঠিন মুহূর্ত...।”

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর