জিম্বাবুয়েতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে কাজী নুরুল হাসান সোহানের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলের দায়ি ছিলত্ব মোসাদ্দেক হোসেনের কাঁধে। তবে অধিনায়কত্বের অভিষেক ভালো হয়নি তার। দল হেরেছে ১০ রানে। হাতছাড়া করেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
অথচ ম্যাচের একটা সময়ে নাটাই বাংলাদেশের হাতে ছিল। হারারেতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে জিম্বাবুয়ের রান ছিল মাত্র ৭৬। এরপর এক ওভারেই খেলা তছনছ। নাসুমের করা ১৫তম ওভার থেকে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া রায়ান বার্ল তোলেন ৩৪ রান। ৫ ছক্কার সঙ্গে ১টি চার হাঁকান তিনি।
অধিনায়কের মতে, ওই একটা ওভারেই খেলা বদলে গেছে। যদিও পরের তিন ওভারেও বেহিসেবী রান দিয়েছেন বোলাররা। ১৫-১৮ ওভারে মোট ৭০ রান তুলে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের নাগাল থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয়। ১৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে স্বাগতিকরা বাংলাদেশকে আটকে রাখে ১৪৬ রানে। ১০ রানে ম্যাচ হেরে হতাশ মোসাদ্দেক।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেছেন, ‘প্রথম ১৪ ওভারে আমরাই দাপট দেখাচ্ছিলাম কিন্তু ঐ ওভারই (নাসুমের ১৫তম ওভার) খেলাটা বদলে দিল।'
বারবার ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে মোসাদ্দেক বলেছেন, ‘যে জিনিসটা হচ্ছে আমরা ম্যাচ থেকে সরে যাচ্ছি মিডল ওভারে। বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন মিডল ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়েও একই, মিডল ওভারে যেভাবে রান করা দরকার সেভাবে হচ্ছে না। এ কারণে আমরা শেষের দিকে চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয় এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে আমরা ভালো করতে পারবো।’
মাত্র এক ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মোসাদ্দেক দলীয় ঐক্যের ডাক দিলেন, ‘আপনি যদি ধারাবাহিক না থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই চিন্তার কারণ। অবশ্যই আমাদের এই জায়গাগুলোতে ধারাবাহিক হতে হবে যদি আমরা ভালো দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি উন্নতি করতে চাই বা সফল হতে চাই। আমি মনে করি অবশ্যই দুই-একটা বিভাগ দেখলেই হবে না পুরো দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ