ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আগ্রাসী মনোভাবেই এগিয়ে যেতে চায় ইংল্যান্ড: স্টোকস
অনলাইন ডেস্ক
বেন স্টোকস।

টেস্টের প্রথম দুই দিনে খেলা হয়নি এক বলও। প্রায় কাছাকাছি থাকা দুই দলের লড়াইয়ের ম্যাচে জয়-পরাজয় পাওয়া একটু কঠিনই। তবে এই ইংল্যান্ড যে আলাদা। যে কোনো পরিস্থিতিতে আগ্রাসনই তাদের কাছ একমাত্র মন্ত্র। তাই তিন দিনে রূপ নেওয়া টেস্ট ম্যাচও তারা জিতে যায় প্রবল বিক্রমে। ম্যাচের পর ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, এই পথ ধরেই ছুটতে থাকবে তার দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ওভাল টেস্টের প্রথম দিন ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। পরের দিন খেলা হয়নি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে। তিন দিনের ম্যাচে পরিণত হওয়া সেই টেস্ট জিততে ইংল্যান্ডের লাগে মাত্র দুই দিনের একটু বেশি। শেষ দিন সকালে আধ ঘণ্টার কম সময়ে তারা খেলা শেষ করে দেয় প্রবল বিক্রমে।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৮ রানে অলআউট হলেও ইংল্যান্ড বড় লিড নিতে পারেনি। তারা গুটিয়ে যায় ১৫৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ১৬৯ রানে। পুরোপুরিই বোলারদের ম্যাচ তখনও পর্যন্ত। শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডের ১৩০ রান তাড়া করাও সহজ হওয়ার কথা নয় তখনকার বাস্তবতায়।

কিন্তু ইংল্যান্ড সেই রান তাড়া করে ফেলে ২২.৩ ওভারে। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নেয় স্টোকসের দল। জয়ের ধরনে ছাপ সেই আগ্রাসনের, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ হিসেবে আসার পর ও বেন স্টোকস অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর যে ঘরানা বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

এবারের ইংলিশ গ্রীষ্মের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের নতুন এই টেস্ট ঘরানা দেখিয়ে চলেছে ইংল্যান্ড। আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণের চোখধাঁধানো প্রকাশে তারা নিউ জিল্যান্ডকে সিরিজ হারায় ৩-০ ব্যবধানে। বারবার সেই সিরিজে পেছন থেকে উঠে এসে, কঠিন পরীক্ষার সময় প্রবল আগ্রাস দেখিয়ে তারা চমকে দেয়। এরপর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টও জিতে নয় তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য আসে হোঁচট। হেরে যায় তারা ইনিংস ব্যবধানে। আগ্রাসী ঘরানা নিয়ে খানিকটা প্রশ্নও উঁকি দিতে শুরু করে। তবে পরের দুই টেস্ট জিতে ম্যাককালাম-স্টোকসের ইংল্যান্ডই জিতে নেয় সিরিজ। সব মিলিয়ে এই গ্রীষ্মে ৭ টেস্টের ৬টিতেই জয় তাদের।

সবশেষ ম্যাচটি তিন দিনের ম্যাচ হয়ে গেলেও জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলে ম্যাচ শেষে জানালেন স্টোকস। তিনি জানান, ম্যাচের পরিধি কমে গিয়েছিল। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল, যে করেই হোক, ফল বের করতেই হবে। আমাদের মনে হয়েছিল, যে জাতি গোটা মৌসুম ধরে আমাদের প্রেরণা জুগিয় গেছে, তাদের এটা প্রাপ্য আমাদের কাছ থেকে। আমরা সবসময়ই এভাবেই খেলে যাব, যেভাবে লোকে বিনোদনের খোরাক পায়। সবসময়ই আমরা ক্রিকেটের ইতিবাচক দিকটা খুঁজে নিতে চাই।

যে কোনো মন্ত্র বা ঘরানা সফল হয় মাঠে সেটির সঠিক প্রয়োগ দেখা গেলেই। এখানে স্টোকস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তার সব সতীর্থের প্রতি। তিনি জানান, আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, স্বচ্ছ একটি বার্তা দেওয়া। আমি ও ব্রেন্ডন (ম্যাককালাম) দলকে এই বার্তা দিয়ে আসছি এবং এই সেদিনও ড্রেসিং রুমে বলছিলাম, আমরা আমাদের চাওয়ার কথা বলছি। আমরা কেবল এই বার্তাই দিতে পারি। কাজটা গোটা দলের।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর