ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সাফ জয় করেও সাবিনার মনে যে কষ্ট!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

বীরের বেশেই নিজ জেলায় ফিরেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নিজের জেলায়ও পেয়েছেন হৃদয়কাড়া অভিবাদন, মিলেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ নানা স্তরের মানুষের সংবর্ধনা ও ভালোবাসা।

তবুও সাবিনার মনে কষ্টের দাগ। যার হাতে সাফ ট্রফিটা তুলে দিতে পারলে সাবিনা সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন, সেই আকবার স্যারই যে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে শূন্যলোকে পাড়ি দিয়েছেন মাস তিনেক আগে। 

সাফের এই আসরের টুর্নামেন্ট সেরা সাবিনা সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাসিন্দা। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়েই তার ফুটবলে পা রাখা। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ মেলে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার এই উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান স্থানীয় কোচ আকবার আলীর। সাবিনার ফুটবল গুরু ৩ মাস আগে মারা গেছেন। জীবিত থাকলে আজকের এই আকবার আলীই বেশি খুশি হতেন বলে মনে করেন সাবিনা। শহরের চালতে তলা এলাকায় জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের আবাসিক সংগঠনটি তো আকবার আলীর গড়ে তোলা। সেখানেই সাবিনার ফুটবলে হাতেখড়ি।   সাফের পর এবার সাবিনার লক্ষ্য আাসিয়ান গেমস। সাতক্ষীরায় শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে সাবিনা এসব কথা বলেন।

সাবিনা জানান, তার গড়ে ওঠার পিছে বড় অবদান তার আকবার স্যারের। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে জাতীয় দলে আমার পদযাত্রা। ২০১৬ সালে আমি অধিনায়ক হই। সেই থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গণ ও নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবিনাও যৌথভাবে ওরিয়ার স্পোর্টস নামে একটি একাডেমি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু সাতক্ষীরায় তেমন কোন খেলার মাঠ না থাকায় খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে অনুশীলন করানো সম্ভব হয় না। একটি মাঠের প্রয়োজন। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করেন।

আগামীকাল শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  সাবিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর