ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিলবাওকে গুঁড়িয়ে দিল বার্সা
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

ম্যাচ জুড়ে আথলেতিক বিলবাওয়ের ওপর ছড়ি ঘোরাল বার্সেলোনা। একাদশে ফিরে জাদুকরী পারফরম্যান্স উপহার দিলেন উসমান দেম্বেলে। গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। অনায়াস জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দলের সঙ্গে ব্যবধান কমাল শাভি এরনান্দেসের দল।

কাম্প নউয়ে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে ১০ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করা কাতালান দলটি দ্বিতীয়ার্ধে পায় চতুর্থটি। দেম্বেলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান লেভানদোভস্কি, সের্হি রবের্তো ও ফেররান তরেস। এই তিন গোলেই অবদান রেখে অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেন দেম্বেলে।

এমন দাপুটে জয়ের রাতে বার্সেলোনার জন্য অস্বস্তির কাঁটা হয়ে এসেছে গাভি ও রবের্তোর চোট। প্রথমার্ধে অশ্রুসিক্ত চোখে মাঠ ছাড়েন গাভি আর ম্যাচের শেষ দিকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নেওয়া হয় রবের্তোকে। ১১ ম্যাচে ৯ জয় ও এক ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ।

শুরু থেকে বিলবাওকে চেপে ধরা বার্সেলোনা সাফল্য পায় দ্বাদশ মিনিটে। প্রথমে বক্সের বাইরে থেকে দেম্বেলের বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক উনাই সিমোন। আলগা বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে লেভানদোভস্কি ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে আর হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। লা লিগায় ঘরের মাঠে বার্সেলোনার ৪ হাজারতম গোল এটি।

অষ্টাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্তো। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে দেম্বেলেকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সতীর্থের ফিরতি বল পেয়ে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেসের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

তিন মিনিট পরই স্কোরলাইন ৩-০ করেন লেভানদোভস্কি। ডান দিক দিয়ে এগিয়ে দেম্বেলে পাস দেন বক্সে, আর বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীরটা ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা পোলিশ তারকা। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল হলো ১১ ম্যাচে ১২টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে তার ১৭ গোল হয়ে গেল ১৫ ম্যাচে।

২৮তম মিনিটে বিলবাওয়ের রাউল গার্সিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে ঊরুতে আঘাত পান গাভি। তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার চিকিৎসা নিয়ে উঠে দাঁড়ালেও পরক্ষণে আবার শুয়ে পড়েন। একটু পর উঠে দাঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে ওঠে স্পষ্ট।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শট নিতে পারে বিলবাও। তবে আলেক্স বেরেনগের নিচু শট ঠেকাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে।

বিরতির আগে গোলের জন্য বার্সেলোনার পাঁচ শটের চারটিই ছিল লক্ষ্যে, তিনটিই জড়ায় জালে। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ডান দিক থেকে রবের্তো নিচু ক্রস বাড়ান দূরের পোস্টে পেদ্রির উদ্দেশ্যে। বিলবাওয়ের দানি গার্সিয়ার ক্লিয়ারের চেষ্টায় বল বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের পায়ে লেগে পোস্টে বাধা পায়।

৬৩তম মিনিটে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন শাভি। লেভানদোভস্কি, পেদ্রি ও জুল কুন্দের জায়গায় নামেন আনসু ফাতি, ফেররান তরেস ও মার্কোস আলোনসো। বদলি নামার তিন মিনিট পরই সুযোগ পেয়ে যান তরেস। দেম্বেলের পাস থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শট ঠেকান গোলরক্ষক। এই দুজনের নৈপুণ্যেই ৭৩তম মিনিটে চতুর্থ গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। দেম্বেলের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২২ বছর বয়সী তরেস।

এর একটু পরই দেম্বেলেকে তুলে নেন শাভি। কাঁধে আঘাত পেয়ে ৮৬তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন রবের্তো। আগেই পাঁচ জন বদলি নামানোয় বাকি সময়ে একজন কম নিয়ে খেলতে হয় বার্সেলোনাকে।

নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে বিলবাওকে গোল প্রায় উপহার দিতে বসেছিলেন টের স্টেগেন। তবে সফরকারীদের পরপর দুটি শট গোললাইন থেকে ফেরান সের্হিও বুসকেতস ও এরিক গার্সিয়া।

কাম্প নউয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগামী বুধবার বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। টানা দ্বিতীয় মৌসুমে প্রতিযোগিতাটির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের দুয়ারে চলে যাওয়া কাতালান দলটির নকআউটে যেতে বাকি দুই ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, পক্ষে আসতে হবে অন্য ম্যাচগুলির ফল।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর