ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সবাই দেখেছে কী হয়েছে; আম্পায়ারিং ইস্যুতে হাবিবুল বাশার
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

ইমার্জিং কাপের ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের টার্গেট ২১২ রান। ওভারপ্রতি করতে হবে ৪ রানের সামান্য ওপরে। ওয়ানডে ক্রিকেটে দলগুলো যেখানে নিত্য ৩০০, ৩৫০ রান টপকাচ্ছে। সেখানে ওভারপ্রতি ৪.২৪ রান! আহামরি কিছু নেয়। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান ৭০ রানের ভিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় ৩৪.২ ওভারে। ৫১ রানে জিতে ভারতীয় ‘এ’ দল ইমার্জিং কাপের ফাইনালে উঠেছে।

কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে বিতর্কিত আম্পায়ারিং। ঘটনাটি ম্যাচের ১৪তম ওভারের। রাকিবুল হাসানের হুট করে লাফিয়ে ওঠা ওভারের চতুর্থ বলটি হালকা টার্ন করে ভারতীয় ব্যাটার নিকিন জোসকে ভেলকি দিয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। সেখানে তাকে স্টাম্পিং করেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক আকবর আলী। ফিল্ড আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন করা হলে সেটির জন্য দ্বারস্থ হতে হয় থার্ড আম্পায়ারের কাছে। সেখানেই বাধে বিপত্তি।

স্টাম্পিংয়ের রিপ্লে লম্বা সময় ধরে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। সিদ্ধান্তের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে টাইগাররা। কিন্তু পরক্ষণেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলান ফয়সাল। রিপ্লেতে দেখা যায় আকবর স্টাম্প ভাঙার সময়, জোসের পা পপিং ক্রিজের ভেতর মাটিতেই ছিল। তাই সিদ্ধান্ত পাল্টে নট-আউটের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। এরপরই প্রতিবাদ করে ওঠেন বাংলাদেশের খেলোয়াররা। অধিনায়ক সাইফ হাসান কথা বলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে। কিন্তু সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসেনি।

আম্পায়ারের এমন আচরণে অবাক জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ। বাশার বলেন, ‘সবাই দেখেছেন। বলার মতো তেমন কিছু নেই। সবাই জানেন আজ কি হয়েছে। আমি আসলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে মন্তব্য করা যায় না।’

হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ রীতিমতো কেড়ে নিয়ে গেছে ভারত। আর সে কারণেই নিজের হতাশা অকপটেই জানান দিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার। বাশার বলেন, ‘আমরা ওদের সুযোগ দিয়েছি ম্যাচে ফিরে আসার। একইসঙ্গে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত যদি দেখেন, সেগুলো যদি আমাদের পক্ষে যেত, তাহলে ম্যাচের চেহারাটা অন্য রকম হতো। সৌম্য ও জাকির যদি আউট না হতো, তাহলে ম্যাচটা এই পর্যন্ত আসতো না। কিন্তু আমাদের শেষ করে আসা উচিত ছিল।’

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর