ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন শামি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বকাপে ২৪ উইকেট নিয়ে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি দাপট দেখিয়েছিলেন। সেই সাথে তার এক কাণ্ডে বিতর্কও তৈরি হয়। তিনটি ম্যাচে ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়ে মাটিতে বসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শামি। তবে তার সেই ভঙ্গিটা ছিল অনেকটা সেজদায় যাওয়ার মতো। তবে সেজদা না করে মাঝ পথেই থামেন তিনি।

আর এতেই একদল বলেন, উগ্রপন্থীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতেই শামিকে এই পথ ধরতে হয়েছে। তার অবশ্য যৌক্তিক কারণও আছে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খারাপ খেলায় শামি তীব্র ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন। অনেকে তাকে ভারত ছেড়ে পাকিস্তানেও যেতে বলেছিলেন। 

২ নভেম্বরের সেই ম্যাচের ৪১ দিন পর মুখ খুলেছেন শামি। তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি প্রার্থনা করতে চাই, তাহলে কে আমাকে আটকাবে? কাউকে প্রার্থনা করা থেকে বিরত করা যায় না। আমি প্রার্থনা করতে চাইলে অবশ্যই করব। তাতে কার কী সমস্যা? মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসাবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এক জন ভারতীয় হিসাবেও আমি ভীষণ গর্বিত। তাতে কার কী সমস্যা? আমাকে কি প্রার্থনা করার জন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে? তেমন হলে এই দেশে কেন থাকব?’’

শামি এখানেই থামেননি। ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘৫ উইকেট নিয়ে আগে কি কখনও সিজদা দিয়েছি আমি? অনেক বার ৫ উইকেট নিয়েছি। তা হলে আমাকে বলে দেওয়া হোক কোথায় গিয়ে প্রার্থনা করব? সেখানে গিয়েই প্রার্থনা করব আমি।’

শামি অবশ্য সমালোচকদের বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘আসলে এইসব লোকেরা কারও পক্ষে থাকে না। এরা শুধু হইচই করতে চায় কিছু একটা নিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে আমি নিজের ২০০ শতাংশ দিয়ে বল করেছিলাম। ওদের পর পর উইকেট পর ছিল। ৩ উইকেট নেওয়ার পর মনে হয়েছিল, আমাকে অন্তত আরও একটা উইকেট নিতে হবে। মনে হচ্ছিল ৫ উইকেট হয়ে যেতে পারে। তার আগে আমার অনেকগুলো বল ব্যাটারদের ব্যাটের কানার খুব কাছ দিয়ে চলে গিয়েছিল। তাই একটু হতাশ লাগছিল। কিছুটা ক্লান্ত লাগছিল। ৫ উইকেট পাওয়ার পর তাই মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছিলাম। অথচ কিছু মানুষ সেটার অন্য অর্থ তৈরি করল। আমি মনে করি যারা এ সব ভুলভাল ব্যাখ্যা করে, তাদের আসলে কোনও কাজ নেই।’

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর