ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইয়ামালের জোড়া গোলে হার এড়ালো বার্সেলোনা
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারল না কোনো দলই। বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো জমজমাট। গোলও হলো একের পর এক। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুবার এগিয়ে গেল গ্রানাদা। দুবারই সমতা ফেরাল বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত আলাদা করা গেল না কাউকেই।

বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে লা লিগার রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। লামিন ইয়ামাল শুরুতে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধেই সমতা টানেন রিকার্দ সানচেস। দ্বিতীয়ার্ধে ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি গ্রানাদাকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান রবের্ত লেভানদোভস্কি।

ইগনাসি মিকেলের লক্ষ্যভেদে সফরকারীরা ফের লিড নেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন ইয়ামাল। লা লিগায় গ্রানাদার বিপক্ষে এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা (৪ ড্র ও একটি হার)। এই ম্যাচ দিয়ে তিন মাস পর মাঠে ফেরেন বার্সেলোনার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পিঠের চোট এবং পরে অস্ত্রোপচারের ফলে দলটির গত ১৭ ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি।

ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে ইয়ামাল পাস দেন দূরের পোস্টে, ছুটে গিয়ে স্লাইডে বলের নাগাল পাননি লেভানদোভস্কি। পরের মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বাঁ দিকে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে জোয়াও কানসেলো ক্রস বাড়ান দূরের পোস্টে, ডান পায়ের ভলিতে জাল খুঁজে নেন ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

গত অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম দেখায় ২-২ ড্রয়ের দিনে একটি গোল করে লা লিগার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার কীর্তি গড়েন ইয়ামাল। অষ্টাদশ মিনিটে বার্সেলোনাকে বিপদমুক্ত করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। বক্সের ভেতর গ্রানাদার অস্কার মেলেন্দোর শট আটকে দেন এই ডেনিশ ডিফেন্ডার।

মাঝে অনেকটা সময় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না বার্সেলোনা। ৪১তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে অল্পের জন্য গোল পায়নি তারা। পেদ্রির ব্যাকহিল ফ্লিক বক্সে পেয়ে ইলকাই গিনদোয়ান অন্য পাশে পাস দেন অরক্ষিত লেভানদোভস্কিকে। পোলিশ তারকার শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন এক ডিফেন্ডার।

দুই মিনিট পর উল্টো সমতায় ফেরায় গ্রানাদা। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে সতীর্থের দারুণ পাসে বক্সে জোরাল হাফ ভলিতে গোলটি করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সানচেস। ৫৩তম মিনিটে বক্সে ঢুকে বাইরে মেরে হতাশ করেন লেভানদোভস্কি। চার মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে গ্রানাদার পেলিস্ত্রির শট ঠেকান টের স্টেগেন। খানিক পর ৬ মিনিটের মধ্যে গোল হয় ৩টি!

৬০তম মিনিটে এগিয়ে যায় গ্রানাদা। বক্সে হেডে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডার পাউ কুবারসি। সতীর্থের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান অরক্ষিত পেলিস্ত্রি।

৬৩তম মিনিটে দারুণ গোলে সমতা ফেরান লেভানদোভস্কি। গিনদোয়ানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন ৩৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। ৬৬তম মিনিটে বার্সেলোনাকে স্তব্ধ করে ফের এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বক্সে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেলের হেডে বল টের স্টেগেনের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।

৭৯তম মিনিটে বার্সেলোনার ইনিগো মার্তিনেস গ্রানাদার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। পরের মিনিটেই নজরকাড়া গোলে ৩-৩ সমতা ফেরান ইয়ামাল। প্রতিপক্ষের একজনের থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ২২ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। দুই মিনিট পর টের স্টেগেনের দারুণ সেভে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। সানচেসের শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান জার্মান গোলরক্ষক।

শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধানটা ৮ পয়েন্টে নামিয়ে আনার সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা। দুই দলের ব্যবধান এখন ১০ পয়েন্টের। ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রিয়াল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে জিরোনা। আরেক ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারা আতলেতিকো মাদ্রিদ ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। ২৪ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে গ্রানাদা।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর