ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আমার এই পদে থাকার প্রয়োজনীয়তা কী জানি না, কেন বললেন ‘বিস্মিত’ সুজন
অনলাইন ডেস্ক

এরইমধ্যে নতুন নির্বাচক খুঁজে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। প্রধান নির্বাচক পদে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে রাখা হয়নি। নির্বাচক পদেও রাখা হয়নি হাবিবুল বাশার সুমনকে। নির্বাচক পদে হান্নান সরকার ও প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।  

আর এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে এখন চট্টগ্রামে তিনি। সুজনের দাবি, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার থাকার যৌক্তিকতা নিয়েই। মূলত ক্রিকেট অপারেশন্সের অধীনেই কাজ করে থাকেন জাতীয় দলের নির্বাচকরা।  

তিনি বলেন, ‘আমি তো পরিষ্কার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স নির্বাচক নিচ্ছে- কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে। ’

সুজন বলেন, ‘লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে। ’

সুজনের মতে, ‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন তার ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট… তবে আমার মনে হয় না এটা উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। ’

সুজন বলেছেন, ‘উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল। ’

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর